রাশিদ রিয়াজ : গত বছর বিশ্বে সামরিক ব্যয় পৌঁছে যায় ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলারে। সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে ন্যাটো জোটভুক্ত সদস্য দেশগুলো। সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে রুশ সামরিক প্রস্তুতির কথা বলা হলেও রাশিয়ার সামরিক ব্যয় কমেছে। আরটি স্টকহোম
ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে গত বছর সামরিক শিল্পের প্রবৃদ্ধির জন্য ছিল পয়মন্ত। সোমবার ওই প্রতিবেদনে বলা হয় ১৯৮৮ সালের পর বিশ্বের সামরিক আয় ২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে চীন, সৌদি আরব, ভারত ও ফ্রান্স। এসব দেশ বিশ্বের ৬০ শতাংশ সামরিক ব্যয় বহন করছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় ছিল ৬৪৯ বিলিয়ন বা ৬৪ হাজার ৯’শ কোটি ডলার। যা বিশ্বে সার্বিক সামরিক ব্যয়ের ৩৬ শতাংশ। চীনের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে ৩ গুণ। যা আরো ৮টি দেশের সামরিক ব্যয়ের চেয়ে বেশি।
এশিয়ায় ভারতের সামরিক ব্যয় ৩.১ শতাংশ বাড়লেও তাকে ছাপিয়ে গেছে পাকিস্তান (১১ শতাংশ)। ভারত পাকিস্তানের মতই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনার খেসারত হিসেবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সামরিক ব্যয়। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পেতে থাকে নতুন অস্ত্র ক্রয়ে ব্যয় বরাদ্দ শুরু হলে। চীনের সামরিক ব্যয় ৫ শতাংশ হলেও গত ২৪ বছর ধরে এ উর্ধ্বহার অব্যাহত রয়েছে।
বছরে চীনের এ ব্যয়ের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা সৌদি আরব সামরিক ব্যয় করছে বছরে ৬৭.৬ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৭’শ কোটি ডলার এবং ব্যয় বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে ভারতের সামরিক ব্যয় বছরে দাঁড়িয়েছে ৬৬.৫ বিলিয়ন অর্থাৎ ৬ হাজার ৬’শ কোটি ডলার এবং এর পরেই ফ্রান্স ব্যয় করছে ৬৩.৮ বিলিয়ন ডলার।
সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান নিয়ে রাশিয়া ব্যয় করছে ৬১.৪ বিলিয়ন ডলার। ব্যয় বৃদ্ধির হার সাড়ে ৩ শতাংশ। রাশিয়ার এ ব্যয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করছে পোল্যান্ড (৮.৯ শতাংশ), বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া । সামরিক ব্যয়ের এ অর্থ যদি উন্নয়নে ব্যয় হত তাহলে তা বিশ্বের জিডিপি’তে ২.১ শতাংশ অবদান রাখত। আর সামরিক ব্যয়ের এ অর্থ বিশ্ববাসীকে ভাগ করে দিলে প্রত্যেকের ভাগে পড়ত ২৩৯ ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :