সাজিয়া আক্তার : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জান্নাতুল মিমি (১৫) নামে এক ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকার ডাস্টারের পিটুনিতে আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই স্কুলছাত্রী বর্তমানে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছ। শনিবার শহরের কেএম লতিফ ইনষ্টিটিউশনের এ ঘটনা ঘটে। একাত্তর
আহত শিক্ষার্থী মিমি উপজেলার সবুজনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহ আলম শরীফের মেয়ে। সে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী। এ ঘটনায় আহত ছাত্রীর মা মুন্নী আক্তার অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শনিবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার ক্লাস চলাকালীন জান্নাতুল মিমি সহপাঠী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পানি পান করতে যায়। পরে শ্রেণিকক্ষে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষিকা ঊষা রানী তাকে কালো-কুৎসিত বলে গালমন্দ করেন। এর প্রতিবাদ করলে মাথা নিচু করে শিক্ষিকা তাকে ডাস্টার দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন।
আহত ছাত্রীর মামা আবু বক্কর সিদ্দিক বাদল অভিযোগ করেন, আমার ভাগ্নিকে অশ্লীল কথা বলে ছাত্রীদের উপস্থিতিতে নির্দয়ভাবে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই ও বিচার দাবি করছি। তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক উষা রানী তার বিরুদ্ধে আনিত মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পাঠদান চলাকালীন ওই ছাত্রী শ্রেণি শিক্ষিকাকে না বলে বাইরে যায়। এজন্য তাকে ভাল পড়াশুনা করে মানুষ হওয়ার উপদেশ দেই। আমি শ্রেণিকক্ষে ডাস্টার নিয়ে যাইনি মারধর করিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওই শিক্ষিকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :