নুর নাহার : সামুদ্রিক সম্পদের এক বিশাল আকর বঙ্গোপসাগর। তবে প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাব ও তথ্যের অপ্রতুলতার কারণে দেশের সমুদ্রসীমার ৮০ ভাগ এখনো অজানা রয়ে গেছে। বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমি খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকায় এখানে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করতে আগ্রহী ফ্রান্সের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিএলএস। এ খাতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান বাংলাদেশ সরকারের। সময় টিভি
পর্যাপ্ত জাহাজ ও উন্নত প্রযুক্তির অভাবে দেশের সমুদ্রসীমার ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে মাছ ধরা হয় মাত্র ৬০ কিলোমিটারে। এর ফলে দেশের সমুদ্রসীমায় আশি লাখ টন মাছের মজুদ থাকলেও দেশের জেলেরা সংগ্রহ করতে পারে মাত্র ৭ লাখ টন মাছ।
অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান থাকলেও এদেশের জেলেদের নেই নিরাপত্তা। বাংলাদেশ মৎস্যজীবী সমিতির এক জরিপ বলছে, গত দুই বছরে নিখোঁজ হয়েছেন প্রায় ৩০০ জেলে। এর মূলত দুটি কারণ- প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলদস্যুর আক্রমণ।
ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান সিএলএস বিশ্বের সেরা সব ফিশারিজ কোম্পানিকে স্যাটেলাইটের সাহায্যে নানা তথ্য দিয়ে সহায়তা করে থাকে। পাখি এবং মাছের দেহে এমন ছোট যন্ত্রাংশ ঢুকিয়ে তারা নির্ণয় করছে গভীর সমুদ্রের কোথায় বেশি মাছ রয়েছে। ভিএমএস, নেমো-র মত সব যন্ত্রপাতি তারা তৈরি করেছে যেগুলোর সাহায্যে জেলেরা একদিকে যেমন আবহাওয়ার পূর্বাভাস পান, অন্যদিকে পাঠাতে পারেন বিপদ সংকেত। বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমি খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছে সিএলএস, তাই আগ্রহী এখানে তাদের আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহে।
সিএলএস সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রেমি দ্য দায়ান্যু বলেন, ব্লু ইকোনমি খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও তাদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নেই। তাই আমরা জেলেদের প্রাণহানি কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য আগ্রহী।
ফ্রান্সের ব্লু ইকোনমি খাতে জড়িত ৪৩০টি কোম্পানির সংগঠন ফ্রান্স মেরিটাইম ক্লাস্টার এর সভাপতি বলছেন, সমুদ্রসম্পদ আহরণে এ খাতে বিনিয়োগ জরুরী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, সমুদ্র সম্পদ আহরণে আসতে হবে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের।
মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, এই দেশকে সামনের শতকে এগিয়ে নিতে হলে সামুদ্রিক সম্পদকে আমাদের অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :