হ্যাপি আক্তার : উদ্ভাবনী শক্তি, সততা আর অদম্য পরিশ্রমে মাত্র ৩ বছরে বাংলাদেশের দুই তরুণ উদ্যোক্তা ৮২০ কোটি টাকা মূল্যের প্রতিষ্ঠানের মালিক। ছোট একটি গ্যারেজ থেকে শুরু পাঠাও এর গল্প। বর্তমানে তারা ৬’শ প্রত্যক্ষ কর্মী, প্রায় ২ লাখ নিবন্ধিত চালক আর ৫০ এর চেয়ে বেশি অ্যাপ ব্যবহারকারী বিশাল পরিবার। তার চেয়েও বড় বিষয় হলো দেশের বাইরে নেপালেও লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন তারা।- নিউজ টোয়েন্টিফোর
তীব্র যানজট থেকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে পাঠাও সার্ভিস চালু করে মুভিন বাংলাদেশ। পাঠাও নামকে ব্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার গল্পটি রূপকথার মতো সহজ নয়। সস্তা ধাচের একটি বাইক নিয়ে পথে নামে পাঠাও। ৩ বছরের সফলতায় এটি এখন অনুপ্রেরণার প্রতীক।
গতানুগতিক চাকরির বাইরে গিয়ে সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটেন হুসেইন মো. ইলিযাস ও সিফাত আদনান।
পাঠাও সহ-প্রতিষ্ঠাতা সিফাত আদনান বলেন, গ্যারেজে শুরু কারার মূল কারণ হলো অফিস নিতে টাকা বেশি দিতে হবে। কাজটি শুরু করা হয়েছিলো মাত্র ৩ জন দিয়ে। অনেক সময় অনুরোধে আমরা নিজেরাও ডেলিভারি করেছি।
তিনি আরো বলেন, পাঠাও এখন অনেক মানুষের ফুল টাইম কাজ করে। এই সার্ভিসটি একটি কর্ম সংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
পাঠাও এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হুসেইন মো. ইলিযাস বলেন, চাকরির সে সমস্যা সেটা দূর করতে চেয়েছি। কিন্তু সে কাজটি খুব সহজ ছিলো না। কিন্তু সে কাজটি করতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, দেশের ভেতরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে যেতে পারিনি। তার সাথে ঢাকার বাইরে কাঠমুন্ডু তেও কাজ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো অনেকগুলো সার্ভিস আনা হবে।
সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস এর ৩০ অন‚র্ধ্ব ৩০ তরুণের তালিকায় স্থান পেয়েছেন পাঠাও এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ২৯ বছর বয়সী হুসেইন মো. ইলিয়াস। সিফাতের বয়স ৩১ বছর বলে এ তালিকায় তিনি আসেননি। সম্পাদনা : মিলন
আপনার মতামত লিখুন :