শিরোনাম
◈ এক মাস ধরে আমার পরিবার বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে খাচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন ফখরুল, খসরু, লন্ডন থেকে যাচ্ছেন জাইমা রহমানও ◈ খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের চিঠি ◈ শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের, অবরোধ ঘিরে সতর্ক পুলিশ ◈ ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করল যেসব দেশ ◈ সিলেট-১০ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রীডে আসছে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ◈ বিশেষ অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার ◈ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত ◈ যে কারণে লাল গালিচা ব্যবহার করে খাল খননের উদ্বোধন করেন ৩ উপদেষ্টা ◈ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কার করতে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০১৯, ০৫:২৬ সকাল
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০১৯, ০৫:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব বাড়ার শঙ্কায় পানি পানে সতর্কতার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের

নুরনাহার : দেশে হেপাটাইটিস-ই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জন্ডিসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় এ বিষয়ে গবেষণা করা সংগঠন হেপাটলজি সোসাইটি। শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন। রাজধানীসহ দেশবাসীকে পানি পানে সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়াসহ বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্টরা। চ্যানেল আই

অধ্যাপক মবিন খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , বাংলাদেশে প্রতিবছর মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসে হেপাটাইটিস-ই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। যা বাংলাদেশের জন্ডিস হিসেবে পরিচিত।

বিএসএমএমইউর লিভার বিশেষজ্ঞ ডা. শাহিনুল আলম বলেন, বছরের এ সময় বৃষ্টির কারণে শহর এলাকায় পানি সরবরাহ দূষিত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। আবার গরমের কারণে মানুষের যত্রতত্র অনিরাপদ পানির শরবত পানের প্রবণতাও রয়েছে। ফলে জন্ডিসের প্রকোপ বেশি হয়। তবে গ্রামের চেয়ে শহরে এর প্রভাব বেশি।

বাংলাদেশে হেপাটাইটিস ই ভাইরাসের কারণে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ একিউট ভাইরাল হেপাটাইটিস (জন্ডিস) হয়ে থাকে।

বারডেম হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম আযম বলেন, হেপাটাইটিস ই ভাইরাস আক্রান্তদের ৪ ভাগের ৩ ভাগ লোকই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর যাদের বয়স ২০ থেকে ৫০ বছর। এই ভাইরাসে একবার আক্রান্ত হলে ১৫ থেকে ৪৫ দিন বিশ্রাম নিতে হয়।

এই ভাইরাসে সাধারণভাবে মৃত্যুর হার শতকরা এক ভাগেরও কম। কিন্তু গর্ভবতী মায়েরা আক্রান্ত হলে মৃত্যুর হার ৮০ শতাংশ। তবে এই ভাইরাসের ক্ষতির দিক তুলে ধরে এর থেকে রক্ষা পাওয়ার ৬ টি পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।

১. বিশুদ্ধ পানি পান ও ব্যবহার নিশ্চিত করা। পানি ৩০ মিনিট ফুটিয়ে অথবা বিশুদ্ধ করে পান করতে হবে।
২. হোটেলে বা ঘরে বাসি খাবার বর্জন করতে হবে।
৩. রাস্তার খোলা জায়গায় শরবত খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
৪. খাওয়ার আগে ও মল ত্যাগের পরে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে।
৫. বাসার পানির ট্যাংক চার মাস পর পর ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৬. চোখ হলুদ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়