ফাতেমা ইসলাম : গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে বেড়ে গেছে চীনা ভাষা শিখতে আসাদের সংখ্যা। সরকারিভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলেতে যেমন এই ভাষার জনপ্রিয়তা বেড়েছে, তেমনি চাহিদা বেশি থাকায় বেসরকারি উদ্যোগেও গড়ে তোলা হয়েছে এমন অনেক ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র। বিবিসি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে সান্ধ্যকালীন চীনা ভাষার ক্লাশ চলছে। এখানকার চীনা শিক্ষিকা শিখাচ্ছেন কারো সাথে দেখা হলে কিভাবে স্বাগত জানাতে হবে। গত কয়েক বছরে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে চীনা বিভাগে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে বলে জানান বিভাগীয় চেয়ারম্যান মো: আফজাল হোসেন। প্রতি ব্যাচে এখানে ক্লাশ করতে আসে বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন পেশার নারী-পুরুষ। কেউ আসছে স্কলারশিপ পাওয়ার আশায় আবার কেউ অফিসের চীনা ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা করতে।
চীনা ভাষার প্রভাষক জান্নাতুন্নাহার বলেন, আমাদের দেশে আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিনিময় ও যোগাযোগ অনেক বেড়ে গেছে। তাই আমাদের দেশের মানুষের মাঝে চীনা ভাষার প্রতি আগ্রহটা দিন দিন বাড়ছে। নানা সেক্টরে কাজের ব্যাপক সুযোগ থাকায় মানুষ চীনা ভাষা শিখছে। এছাড়া শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার জন্যও অনেকে চীনা ভাষা শিখছে।
গত কয়েক দশকে চীন সারাবিশ্বের ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের একটি বড় অংশ দখল করে আছে দেশটি। কিন্তু বেশিরভাগ চীনা ব্যবসায়ী ইংরেজির পরিবর্তে তাদের মাতৃভাষা ম্যান্ডারিনে কথা বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তাই এসব চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার কারণেই মানুষ চীনা ভাষা শিখতে আসছে বলে জানান প্রশিক্ষক পাও ফে।
তিনি বলেন, "চীনের সঙ্গে এখন সবাই ব্যবসা করছে। তাছাড়া দেশ হিসেবে তারা দিন দিন উন্নতি করছে। চীনা ভাষা শিখলে সহজেই স্কলারশিপ পাওয়া যায়, চাকরি পাওয়া যায়। তাই এই ভাষা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।" চীনা ভাষায় ৭ থেকে ১০ ধরনের বৈচিত্র রয়েছে, তবে সেখানে সবচেয়ে প্রচলিত হলো ম্যান্ডারিন ভাষা। ৫শ বছরের বিবর্তনে ভাষাটি আরো সহজ করণ করা হলেও এ ভাষা পড়তে, বলতে ও লিখতে পারা ভীষন কঠিন । এজন্য প্রয়োজন সঠিক শিক্ষণ ও প্রচুর অনুশিলন। তাই বেনামি প্রতিষ্ঠানে বা শুধু বই পড়ে বা অ্যাপের মাধ্যমে এই ভাষা শেখা অসম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনার মতামত লিখুন :