রুহুল আমিন : প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার নির্দেশ সত্ত্বেও পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান পুজিথ জয়াসুন্দরা। শনিবার লঙ্কান প্রেসিডেন্টের দফতরের এ সূত্র রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে মতবিরোধের বিষয়টি আরও তীব্র হলো। বাংলা ট্রিবিউন।
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, পুজিথ জয়াসুন্দরা পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। তবে শনিবার লঙ্কান প্রেসিডেন্টের দফতরের দুই সূত্রের বরাত দিয়ে ভিন্ন খবর দিলো রয়টার্স। বিষয়টি নিয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে ফোন ও ইমেইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাতে সায় দেননি পুলিশ প্রধান পুজিথ জয়াসুন্দরা।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুজিথ জয়াসুন্দরা পদত্যাগ করেননি, তবে গত শনিবার থেকে তিনি কাজে যোগ দিচ্ছেন না।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি’র হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, গির্জায় হামলার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার পুলিশকে আগেই সতর্ক করেছিল 'একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা'। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ প্রধান পুজিথ জয়াসুন্দরা দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সতর্কতা পাঠান। এতে বলা হয়, 'একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) প্রখ্যাত চার্চ এবং কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।'
গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। এক পর্যায়ে সিরিসেনা জানান, পুলিশের কাছে আগাম গোয়েন্দা তথ্য থাকলেও এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টকে জানানো হয়নি। হামলার গোয়েন্দা তথ্য গোপন করায় প্রতিরক্ষা সচিব হেমাসিরি ফার্নান্দো এবং পুলিশ প্রধান পুজিথ জয়াসুন্দরা পদত্যাগের নির্দেশ দেন সিরিসেনা। সে অনুযায়ী প্রতিরক্ষা সচিবরা দত্যাগ করলেও পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানান পুলিশ প্রধান।
শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টই কেবল একজন পুলিশ প্রধানকে বরখাস্ত করতে পারে। তবে সে প্রক্রিয়াও সময়সাপেক্ষ। মূলত পুলিশকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বাইরে রাখতেই এমন ব্যবস্থা। পুলিশ প্রধান হিসেবে পুজিথ জয়াসুন্দরা নিয়োগ পেয়েছিলেন মূলত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পছন্দ অনুযায়ী। আর লঙ্কান প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার তীব্র বিরোধ নতুন নয়।
আপনার মতামত লিখুন :