ফাতেমা ইসলাম : যাত্রীদের চাপ সামলাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হচ্ছে জুলাই মাসে। মূল টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে সুপরিসর এই টার্মিনাল। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বছরে যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ২ কোটি, বাড়বে রানওয়ে পার্কিং বেসসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। ডিবিসি
বর্তমান দেশে বছরে ৮০ লাখ মানুষ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে। যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। নিকট ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। কিন্তু সে তুলনায় বাড়েনি বিমান বন্দরের রানওয়ে ও পার্কিং বেসসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো।
বছর চারেক আগে বিমানবন্দরের সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১৭ সালের ২৪শে অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর স¤প্রসারণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। ২০১৭ সালের ১১ই জুন এ প্রকল্পের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠানকে যৌথভাবে পরামর্শক হিসাবে নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বেবিচক। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের মেয়াদকাল ছিল ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে হচ্ছে এই স¤প্রসারণ।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান বলেন, ‘আমাদের এখানে ২২লক্ষ স্কয়ার ফিটের একটা কাজ হবে। এখন আছে ১০লক্ষ স্কয়ার ফিট।' থাকবে টার্মিনাল কানেক্টিং সড়ক, আন্ডারপাস ও ওভারপাস। ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ৫৬টি চেকইন সেন্টার, ১৬টি এ্যারাইভাল লাগেজ বেল্ট, আধুনিক ভিআইপি ভবন, ট্যাক্সিওয়ের, সাথে থাকবে মেট্রোরেল কানেকশন। যাত্রী ও দর্শণার্থীর আসা-যাওয়ার পৃথক ব্যবস্থা থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক এসকেলেটর, সাবস্টেশন ও লিফট, রাডার, কন্ট্রোল টাওয়ার, অপারেশন ভবনসহ বহুতল গাড়ি পার্কিংও থাকবে।
এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান বলেন, 'তৃতীয় টার্মিনালের দু’টি টেন্ডার জমা পড়েছে। আমাদের সাইড থেকে এ কাজ শেষ হয়ে গেলে এটা আবার জাইকাতে চলে যাবে। ওরা টেকনিকাল পার্টটা দেখবে।' সব ঠিক থাকলে জুলাই মাসে কার্যাদেশ দেয়া যেতে পারে।
প্রস্তাবিত স্থানে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের বাস্তবতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘জোড়াতালি দিয়ে এটা করার সময় এখন আর নেই। এখন এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। মহাপরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে।'
সরকার পদ্মা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ২৫ হাজার একর জমির ওপর সুপরিসর আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় ২০১১ সালে। দুই বছর আগে সেই প্রকল্প স্থগিত করা হয় এবং ঢাকা শহরের কাছাকাছি বিকল্প স্থানে সেটি নির্মাণের চিন্তাভাবনা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :