সালেহ্ বিপ্লব : একজন গোটা দেশের প্রধানমন্ত্রী, অপরজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দু’জনের মাঝে কথার যে লড়াই, ধারালো বাক্যবাণ বিনিময়, তা এই লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে আরো শাণিত হয়েছে। মোদী নানাভাবে খোঁচাচ্ছেন মমতাকে, মমতাও ছেড়ে কথা কইছেন না। এমনভাবেই চলছে লোকসভা নির্বাচনে দুই নেতার দ্বৈরথ। শুক্রবার আসানসোলের জনসভায় মমতা ব্যানার্জি আক্রমণ শানালেন মোদীকে রসগোল্লা পাঠানোর বিষয় নিয়ে।
এনডিটিভি তাদের রিপোর্টে মন্তব্য করেছে, এর পরেরবার মমতা ব্যানার্জি যদি নরেন্দ্র মোদীকে ‘রসগোল্লার হাঁড়ি’ পাঠান, তাহলে তা খাওয়ার আগে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। এই রসগোল্লার কাহিনীটা কী? সেখানেই তো মজা! দিনকয়েক আগেই বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে বাংলার মিষ্টি পাঠিয়েছেন। বছরে একবার বা দু’বার হাতে তৈরি কুর্তাও পাঠান। গতকাল শুক্রবার আসানসোলে মোদীর এই দাবির জবাব দিয়েছেন মমতা।
মমতা বলেন, তিনি মোদীকে বাংলার রসগোল্লা পাঠাবেন। তবে ছানার বা স্পঞ্জের নরম তুলতুলে রসগোল্লা নয়, যা মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে। তাহলে কী রসগোল্লা পাঠাতে চান তিনি? মমতা বললেন, ‘‘আমি নরেন্দ্র মোদীকে রসগোল্লা পাঠাবো। তবে তার ভিতরে থাকবে কাদা আর স্টোনচিপস। যেমনভাবে লাড্ডুতে কাজুবাদাম থাকে, তেমন। একটা কামড় দেবে, দাঁত ভেঙে পড়ে যাবে। এরকম ধরনের মিষ্টি আমি পাঠাবো তাকে।’’
অক্ষয় কুমারের সাথে ওই সাক্ষাতকারে মোদী আরো বলেছিলেন, ‘‘আমি জানি না, এই কথাটি বলার জন্য রাজনৈতিকভাবে আমার কোনও ক্ষতি হবে কি না। তবে, ঘটনাটি হলো, মমতা দিদি আমাকে প্রতি বছরই বেশ কয়েকটি কুর্তা পাঠান উপহার হিসেবে। এছাড়া, তিনি যখন জানতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিশেষ ধরনের বাঙালি মিষ্টি পাঠান, তারপর থেকে তিনিও আমাকে বছরে একবার কি দু’বার বাংলার মিষ্টি পাঠাতে শুরু করেন।’’
ওইদিনই মোদীর ওই কথার জবাব দেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অতিথিকে আপ্যায়ন করার সময় মিষ্টি আর উপহার দেওয়া বাংলার রীতি। উনি এরপরও বাংলা থেকে রসগোল্লাই পাবেন! কারণ, একটা আসনও তো জিতবেন না।’’
আপনার মতামত লিখুন :