কামরুল হাসান : বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়া ও তাদের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ব্রুনাই-এর সুলতান। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যার ন্যায়ভিত্তিক ও স্থায়ী সমাধানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তিও হয়েছে। যে মুহুর্তে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার কথা ঠিক সেই মুহুর্তে রোহিঙ্গারা প্রতিবাদ শুরু করল যে তারা যাবে না। রোহিঙ্গারা ফেরত গেলে চীন, ভারত ও জাপান তাদের জন্য ঘরবাড়ি করে দিতেও তারা রাজি। প্রত্যেক দেশেই কিন্তু তাদের কিছু কিছু রিফিউজি আছে। এদের সঙ্গে আমি আলোচনা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক তিনটি সংস্থাকে বলেছি আপনারা রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু করতে চাইলে মিয়ানমারের মাটিতে করেন। মিয়ানমার সরকারেরও এখানে একটা প্রচণ্ড অনীহা দেখা দিচ্ছে। এ ধরনের সমস্যায় কিছু লোক রিফিউজিদের লালন-পালন করার জন্য যতটা আগ্রহ দেখায় ফেরত পাঠানোর জন্য কিন্তু ততটা আগ্রহ দেখায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্ষাকালে যদি পাহাড় ধস বা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে তবে এর দায় ঐ সংস্থাগুলোকেও নিতে হবে। আমি এ কথাটা জাতিসংঘকেও জানিয়েছি। আমরা আশিয়ান, আঞ্চলিক ও বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতা কামনা করি।
আপনার মতামত লিখুন :