মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী লালদীঘি ময়দানে বলি খেলায় গত বছর কক্সবাজারের চকরিয়ার জীবনের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন কুমিল্লার ছেলে বলি খেলোয়াড় শাহজালাল। তবে বছর ঘুরতেই গতবারের চয়াম্পিয়ন কক্সবাজার চকরিয়ার জীবনকে পরাজিত করে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার ছেলে শাহজালাল।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে জব্বারের বলী খেলার ১১০তম আসর অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৩ মিনিট ধরে চলা এ খেলায় শাহজালাল ও জীবন কেউ কারো পিঠ মাটিতে লাগাতে পারেনি। তাই পয়েন্টের হিসেবে ৩:১ ব্যবধানে কুমিল্লার হোমনার বাসিন্দা শাহাজালালকে জয়ী ঘোষণা করেন রেফারি।
দুপুরে বলী খেলা শুরুর আগে নগরীর লালদীঘি ময়দানে হাজারো দর্শক জড়ো হয়েছিল। কানায় কানায় পূর্ণ মাঠের আশপাশসহ বিভিন্ন উচু ভবনের ছাদ। ঢোল বাজনার তালে তালে দর্শক সমর্থকরা উৎসাজ জোগাতে থাকেন বলীদের। এ সময় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে জব্বারের বলী খেলায় আগত সকল বয়সী দর্শকদের উপস্থিতি বলি খেলাটি প্রানবন্ত হয়ে উঠে।
এদিকে মহেশখালীর শাহাবউদ্দিনকে সমিফাইনালে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠেন শাহজালাল। তবে মহেশখালীরই ভাগ্যক্রমে মোহাম্মদ হোসেনকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন জীবন। আর এতে করে ফাইনালে আবারো মুখোমুখি হয় বারের চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ বলিরা।
সেমিফাইনালে শাহজালাল ৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে শাহাবউদ্দিনকে পরাজিত করলেও জীবন এবং মোহাম্মদ হোসেনের খেলাটি প্রায় ১২ মিনিট ধরে চললেও কোনো ফলাফল আসেনি। পরে রেফারি খেলাটির ফলাফল নির্ধারণ করেন। ভাগ্য নির্ধারনী টচে জয়ী হয়ে ফাইনালে খেলেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন জীবন।
ফাইনাল শুরুর পর তৈরি হয় দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা। দুই ভাগে ভাগ হয়ে দর্শকরা-সমর্থকরা শাহজালাল ও জীবনকে উৎসাহ দিতে থাকেন। খেলা শুরুর পর থেকেই দুজনই কৌশল অবলম্বন করেন।
রেফারি বারবার কৌশলের পাশাপাশি খেলায় শক্তি প্রয়োগের তাগাদা দিলেও দুইজনই নিজেদের মতো করে খেলে যাচ্ছিলেন। ২২ মিনিট ২৬ সেকেন্ড পর ৩:১ পয়েন্টে কুমিল্লার শাহজালালকে জয়ী ঘোষণা করেন রেফারি।
খেলায় সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান চ্যাম্পিয়ন শাহজালালকে ক্রেস্ট ও নগদ ২০ হাজার টাকা এবং রনার্স আপ জীবনকে ক্রেস্ট ও নগদ ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার তুলে দেন
জয়ের পর আনন্দানুভূতি প্রকাশ করে চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলেন, “কুস্তি খেলেই তার জীবন চলে। বাংলাদেশ আনসারের হয়ে বিভিন্ন স্থানে খেলেন। আবার ব্যক্তিগতভাবেও খেলেন দেশের বিভিন্ন স্থানে।
দুই সন্তানের জনক শাহজালাল বলেন, ঘর চলে আনসারের থেকে পাওয়া ভাতা দিয়ে। আর সব সময় নিয়ম করে অনুশীলন করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :