নুর নাহার : পতিতালয়ে জন্ম নেয়া শিশুরা শেকল ভাঙ্গার স্বপ্ন দেখেন। আর তাই বেড়ে ওঠার চেষ্টায় স্বতস্ফুর্ত তারা। টাঙ্গাইলের কুইজবাড়ীর সেইফ হোমে কয়েকটি বেসরকারি দাতা সংস্থার সহযোগিতায় আলোর পথে এগিয়ে চলছে পতিতালয়ে জন্ম নেয়া শিশুরা। জীবনের রং যেখানে ক্রমশই ফিকে হয়ে আসে, সেই পতিতালয়ে জন্ম ওদের। তবুও সব শিশুর মতো ওরাও লিখতে চায় সাফল্যের গল্প। সময় টিভি
পতিতালয়ে জন্ম নেয়া এক শিশুর স্বপ্ন বাংলাদেশের বিখ্যাত মিউজিশিয়ান হওয়ার। সুরের মূর্ছনায় নিজেকে খুঁজে ফেরে সে। সুরই যেনো হয়ে ওঠেছে তার প্রাণের স্পন্দন। জাগাচ্ছে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।
সেইফ হোমে থাকা মিঠুন( ছদ্ম নাম)নামের এক শিশু জানায়, আমার স্বপ্ন, আমাদের মতো যারা অন্ধকার জগতে আছে তাদেরকে নিয়ে এমন একটি বড় প্রজেক্ট তৈরি করবো যাতে তারা অন্ধকার থেকে তারা আলোর পথে আসতে পারে।
ওদের স্বপ্ন পুরণের পথে মাথা উচিয়ে বিভেদের দেয়াল। নিজের জীবন অন্ধকারে তলিয়ে গেলেও মায়ের চাওয়া আলোকিত হোক সন্তানের জীবন। অভিশপ্ত জীবনের ছোঁয়া থেকে দুরে থাকুক প্রিয় সন্তান।
যৌনকর্মী মিনা (ছদ্ম নাম) বলেন, আমারও তো কষ্ট লাগে, মন চায় ছেলেকে আমার কাছে রাখি, রান্না করে খাওয়াই। তার পরও চাই আমার ছেলেটা দূরে থেকে মানুষ হোক।
টাঙ্গাইল শহরের অদুরে কুইজবাড়ির সেইফ হোমে বেড়ে ওঠা এসব শিশু কিশোরের স্বপ্ন পূরণের বন্ধুর পথটি সহজ করেছে কয়েকটি দাতা সংস্থা। উইরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তা ও টেরে ডেস হোমের কারিগরী সহায়তায় সোসাইটি ফর সোশ্যাল সার্ভিস তাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণের দায়ভার নিয়েছেন।
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের নিবার্হী পরিচালক রোকসানা সুলতানা বলেন, মা বাবার সাথে থাকতে পারে না এই অভাব তাদের মধ্যে আছে এবং সেই অভাব দূর করার জন্যই আমাদের কাউন্সিলর তাদের সাথে কথা বলে এবং সেটি কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন।
সিপের নিবার্হী পরিচালক ফজলুল হক চৌধুরী বলেন, শিশুদেরকে আমরা সমাজের মূল ধারায় আনার চেষ্ট করছি। শিক্ষাগ্রহণ করে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।
বাংলাদেশ টেরে ডেস হোমসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদুল কবির বলেন, এরা পতিতালয়ের শিশু হলেও তাদের সুযোগ করে দেয়া সমাজের প্রত্যেকের দায়িত্ব।
আপনার মতামত লিখুন :