স্বপ্না চক্রবর্তী : রাজধানীতে ওয়াসার পানি সরাসরি, ফুটিয়ে অথবা ফিল্টার করে কে কীভাবে পান করবে তা নিজস্ব সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ‘অগ্নিনির্বাপন প্রতিরোধ করণীয়’ নির্ধারণের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভার শুরুতে মন্ত্রী এমন কথা বলেন। তিনি এসময় বলেন, ওয়াসার পানি শ্রমিকরা জগ ভরে খায় কিন্তু তারা তো অসুস্থ হয়নি এক বছরেও। ২০০৯ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি, বহুদিন গোসল না করে অফিস আসতে হয়েছে। কিন্তু এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, ওয়াসার পাইপলানের কে খাবে কে খাবে না সেটি তার ঝুঁকি নেওয়ার উপর নির্ভর করে। ঢাকা শহরে গত ৭-৮ বছরের মধ্যে পানি আমার বাসায় আসেনি, এমন কোনো ঘটনা নেই। আর অ্যাপারেন্টলি পানি দেখে আমার কাছে কখনই মনে হয়নি যে এই পানিটার মধ্যে ময়লা আছে। আগের তুলনায় পানির মান উন্নত হয়েছে। উপরন্তু এখন ফুটিয়ে খাওয়া বা ফিল্টারে ফিল্টারিং করে খাওয়া অথবা ডাইরেক্ট খাওয়া- এটা ডিপেন্ড করে কারা কীভাবে?
তিনি আরো বলেন, আমেরিকাতেও দেখা গেছে কেউই পাইপ লাইনের পানি খায় না, বাজার থেকে কিনে আনে। সিঙ্গাপুরেও দেখেছি ড্রিংকেবল পানি সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা থাকলেও হোটেলগুলোতে মিনারেল পানি, বোতলের পানিও রাখা আছে। আমরা কেউ কারেজিয়াস হই না সেটা খাওয়ার জন্য। কে খাবে না খাবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসা নিয়ে ইদানীং বেশ কথাবার্তা চলছে। পৃথিবীর কোনো দেশ শুধু ড্রিংকেবল ওয়াটার সাপ্লাই দেওয়ার জন্য আলাদা কোনো পাইপলাইন সব জায়গায় করে দিয়েছে, আমার জানা নেই।
সরকারের সংস্থাগুলোকে আলোচনা-সমালোচনা সহজভাবে আমলে নেওয়া উচিত বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাহলে আমাদের আর কিছু করণীয় আছে কি না, কোথায় কোন ভুলত্রæটি আছে কি না; তাতে করে আমরা সংশোধন ও সচেতন হতে পারব বলে।
আপনার মতামত লিখুন :