এস এম নূর মোহাম্মদ : স্কুল-কলেজ, আদালত, কারাগার, খেলার মাঠসহ জনসমাগম স্থানে বসানো মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশনের মাত্রা এবং তাতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ক্ষতি নিরুপনের জন্য সমীক্ষা চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর এই সমীক্ষার প্রতিবেদন চারমাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বিদেশ থেকে আমদানি করা মোবাইল ফোন সেটের রেডিয়েশন বিষয়ক এসএআর মান নির্নয় করে তা প্রতিটি ফোন সেটে প্রদর্শন করা যায় কীনা সে বিষয়েও সমীক্ষা চালাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া রেডিয়েশন নিয়ন্ত্রণে আদালত মোট ১১ দফা নির্দেশনাও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এরমধ্যে রয়েছে- মোবাইল টাওয়ারের বিকিরন নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ১০ ভাগের এক ভাগ করা। বিকিরন মাত্রা যেন বেশি না হয় তার ব্যাপারে অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। টাওয়ার বসাতে বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করা। টাওয়ারের বিকিরন মাত্রা বিটিআরসি এবং লাইসেন্সি দুইজনকেই স্বাধীনভাবে আইটিইউ এবং আইইসি এর মান অনুসারে পরিমাপ করা। বাসার ছাদ, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ক্লিনিক, কারাগার, খেলার মাঠ, জনবসতি এলাকা, হেরিটেজ ও প্রত্নতাত্তিকসহ এসব এলাকায় টাওয়ার না বসানো এবং যেগুলো বসানো হয়েছে তা অপসারণ করা।
কোন টাওয়ারের বিকিরন মাত্রা বেশি হলে তা অপসারন করে নতুন টাওয়ার বসানো। টাওয়ার ভেরিফিকেশন মনিটর পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিটিআরসি’র দায়-দায়িত্ব হবে বাধ্যতামূলক। বিটিআরসি স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং সেল গঠন করবে। বিটিআরসিকে অন্যদেরকে নিয়ে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি গঠন করবে। লাইসেন্সিকে প্রতি ৬ মাসে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। মোবাইল সেটে দৃশ্যমানভাবে এসএআর মান লিখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সি প্রতিটি রিপোর্ট ৫ বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :