কেএম নাহিদ : বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি সভাপতি থাকাকালিন রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্থ কেউ কেনো অভিযোগ করেন নি। আমরা রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্থদের আইএলও থেকে ২৪০ কোটি টাকা ৩সাড়ে তিনহাজার শ্রমিকের মাঝে বিতরণ করেছি। সেখানে আর কেনো অভিযোগ না আসায়, ৮ কোটি টাকা থেকে যায়্, সেই টাকা দিয়ে সাভারে জমি কেনা হয়েছে হসপিটাল নির্মানের জন্য। রানা প্লাজার চিকিৎসা সিআরপিতে আহতদের চিকিৎসা করা হয়, কারো বিদেশে চিকিৎসা হয়েছে। এখন কেনো ব্যক্তি বা কেনো সংস্থা যদি বলে রানাপ্লাজার ক্ষতিগ্রস্থরা টাকা পায়নি বা চিকিৎসা হয়নি এটা শোনা আমাদের জন্য কষ্টের । বুধবার ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির আজকের বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আগের চেয়ে কারখানার পরিবেশ অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। রানাপ্লাজার ঘটনা পর মালিক শ্রমিকদের সম্পর্ক আগের যে কেনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। কারখানার কর্মপরিবেশ এখন বিশ্ব মানের। রানা প্লাজা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। নিরাপত্তার সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কারখানাতে বিদ্যমান। অ্যাকর্ড’এর আওতায় ১৫শত কারখানা কেনো নিরাপদ। এছাড়া ন্যাশনাল এ্যাকশন প্লানের আওতায় কারখানা গুলোতেও কম অনিরাপদ। ৩৯ টি কারখানা ছিলো নিরাপদ তা বন্ধ হয়েগেছে। গত ৪ বছরে ১২শত কারখানা বন্ধ হয়েগেছে।
তিনি বলেন, রাজা প্লাজার ঘটনার পর আমরা ভেবেছিলাম ব্যবসা মনে হয় আর আমাদের থাকবে না। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, আমেরিকার চাপে আমরা কম্পেক্ট সাইন করতে বাধ্য হই।
আপনার মতামত লিখুন :