শিরোনাম
◈ এক মাস ধরে আমার পরিবার বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে খাচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন ফখরুল, খসরু, লন্ডন থেকে যাচ্ছেন জাইমা রহমানও ◈ খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের চিঠি ◈ শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের, অবরোধ ঘিরে সতর্ক পুলিশ ◈ ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করল যেসব দেশ ◈ সিলেট-১০ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রীডে আসছে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ◈ বিশেষ অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার ◈ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত ◈ যে কারণে লাল গালিচা ব্যবহার করে খাল খননের উদ্বোধন করেন ৩ উপদেষ্টা ◈ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কার করতে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০২:৩৬ রাত
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০২:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জব্বারের বলীখেলা: একশো’ বছর আগে যেভাবে শুরু হয়েছিলো চট্টগ্রামের এই কুস্তি প্রতিযোগিতা

স্পাের্টস ডেস্ক : এবার একশ' দশ বছর হচ্ছে 'জব্বারের বলীখেলা' নামের বিখ্যাত কুস্তি প্রতিযোগিতাটির।

প্রতি বছর মূলত এই সময়েই বন্দরনগরী চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে এর আয়োজন হয়।

বলী খেলাকে ঘিরে থাকে বৈশাখী মেলার আয়োজন। আজ বিকেল চারটার দিকে এই আয়োজনের উদ্বোধন হবে। তিন ধরে চলবে মেলা।

মূল কুস্তি প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে কাল বৃহস্পতিবার থেকে।

যেভাবে শুরু হয়েছিলো এই কুস্তি প্রতিযোগিতা
বলী খেলা মানে কুস্তি প্রতিযোগিতা। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কুস্তিকে বলী খেলা নামে ডাকা হয়।

১৯০৯ সালে প্রথম এই প্রতিযোগিতার প্রবর্তন করেন চট্টগ্রামের জমিদার আব্দুল জব্বার সওদাগর। নামই বলে দেয় স্থানীয় প্রভাবশালী এবং একজন ধনী ব্যক্তি ছিলেন তিনি।

এই বলীখেলার উপর গবেষণা করেছেন চিটাগাং সেন্টার ফর অ্যাডভ্যান্স স্টাডিজের সদস্য সচিব ড. শামসুল হোসাইন।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "সে সময় যখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন চলছিলো - রাজনৈতিক একটা আইডিয়া এটার পেছনে এসে তখন দাঁড়িয়ে যায়। তখন তরুণ প্রজন্মকে শারীরিকভাবে সমর্থ করার ধারণা থেকে এই প্রতিযোগিতা প্রথম চালু করেন জব্বার সওদাগর।

"উদ্দেশ্য ছিল, তারা যেন আন্দোলনে অংশ নিতে পারেন তার জন্য শারীরিকভাবে তাদের প্রস্তুত করা।"
মি. হোসাইন বলছিলেন, "এর মধ্যে আরেকটি বিষয় ছিল মুসলিম তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়ানো। সেই সময় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের হিন্দুদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল। "

তিনি আরও বলেন, "কুস্তি এই অঞ্চলের অত্যন্ত প্রাচীন সাংস্কৃতিক উপকরণ। মধ্যযুগে সেনাবাহিনীতে যারা চাকরি নিতো তাদের শারীরিক সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য তারা কুস্তি করতেন। সেখান থেকেই এর শুরু।"

আব্দুল জব্বার সওদাগর নিজের নামেই এই বলীখেলার নামকরণ করেছেন। সেখান থেকেই এর নাম জব্বারের বলীখেলা।
স্মৃতিচারণ জব্বার সওদাগরের নাতির

আব্দুল জব্বার সওদাগরের ছেলের ঘরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদলের জন্ম ১৯৫৫ সালে। এই প্রতিযোগিতার শুরুটা না দেখলেও তার বাবার মুখে শুরুর দিককার অনেক গল্প তিনি শুনেছেন।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, "আমার দাদার মৃত্যুর পর আমার বাবা এর দায়িত্ব নেন। তিনিই এটার আয়োজন করতেন। আমরা যখন দেখেছি, তখন এই প্রতিযোগিতা এতটা প্রসারিত ছিল না। এটি শুধুমাত্র লালদিঘী এলাকার বলীদের জন্যই আয়োজন করা হতো।"

তিনি সেই সময়কার পরিবেশ বর্ণনা করে বলছিলেন, "সে সময় এলাকায় ঢোল বাজত, সাথে থাকতো কুস্তিগীরেরা। আমরা ঢোলের পিছে পিছে ঘুরতাম। এভাবে তারা এসে মাঠে ঢুকত। আমি তখন স্কুলে পড়ি।"
তিনি জানান, তিনি তার বাবার মুখে শুনেছেন খেলাটা কিছুটা প্রচলন হওয়ার পর বলীরা সেই সময় মাস দু'য়েক আগে এসে জড়ো হতেন।

তাদের বাড়িতেই বড় একটা বৈঠকখানা ছিল। সেই ঘরেই থাকতেন। সেখানেই তারা খাওয়াদাওয়া করতেন এবং দিনভর নানা শারীরিক কসরত ও অনুশীলন করতেন, প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিতেন।

মি. আনোয়ার ঠিক সময়টা সেভাবে মনে করতে পারেন না ঠিক কবে তার বাবার হাতে এই আয়োজনের দায়িত্ব বর্তায়।

তবে তিনি বাবার মৃত্যুর পর ১৯৮৬ সাল থেকে এই আয়োজনের নানা খুঁটিনাটি বিষয়ের সাথে আরও সরাসরি জড়িয়ে গেছেন।-বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়