শিরোনাম
◈ বিশেষ অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার ◈ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত ◈ যে কারণে লাল গালিচা ব্যবহার করে খাল খননের উদ্বোধন করেন ৩ উপদেষ্টা ◈ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কার করতে হবে: তারেক রহমান ◈ আমলা ও মিডিয়া আওয়ামী অপরাধের বৈধতা উৎপাদনে কাজ করছে : হাসনাত ◈ নির্বাচনে আ. লীগের অংশগ্রহণ কমিশনের বিষয় নয়: ইসি সানাউল্লাহ (ভিডিও) ◈ শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান, কঠোর আন্দোলনের হুঁ.শিয়ারি শিক্ষার্থীদের (ভিডিও) ◈ রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা টাকা না পাওয়ায় হোটেল ছাড়ছেন না ◈ ভারত থেকে চালবাহী দুটি জাহাজ এল মোংলা বন্দরে ◈ প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের বিদেশগামীদের জন্য সতর্কবার্তা

প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফোন গায়েবের ঘটনায় সাংবাদিকদের চোর সন্দেহ করে ক্ষমা চাইলেন শমী কায়সার

দেবদুলাল মুন্না : ফোন চুরির ঘটনায় সাংবাদিকদের আটকে রেখেছিলেন অভিনেত্রী ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই- ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার। প্রায় আধা ঘণ্টা যাবৎ অর্ধশত সংবাদকর্মীকে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আটকে রেখেছিলেন তিনি।

এ সময় তার নিরাপত্তাকর্মীরা সংবাদকর্মীদের দেহ তল্লাশি করেন। কয়েকজন সাংবাদিক অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে তাদের ‘চোর’ বলেও সম্বোধন করেন তারা।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সংবাদকর্মীরা। ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা। পরে যখন জানা গেল, ফোন চুরি করেছে লাইটিংয়ের এক কর্মী; তখন ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু৩৬৫’র অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে আসার কথা ছিল তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের। ঘটনাটি ঘটার আগে সেখানে নিজ বক্তব্য শেষ করে চলে যান বিশেষ অতিথি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, ও চলচ্চিত্র তারকা জয়া আহসান।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধনকালে বক্তব্য দিচ্ছিলেন শমী। বক্তব্য শেষ করে কেক কাটার সময়ই হঠাৎ তিনি বুঝতে পারেন তার স্মার্টফোন দুটি নেই। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বিষয়টি উপস্থিত সবাইকে জানান। তিনি বার বার ফোনের নাম্বার দুটিতে কল করেছিলেন। সচল থাকলেও ফোন রিসিভ করছিলেন না কেউ।

এরপর শমীর কথায় মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় তিনি তার নিরাপত্তাকর্মীদের আদেশ দেন উপস্থিত সকলের দেহ তল্লাশি করতে। সাংবাদিকরা সম্মতি প্রকাশ করলেও কেউ কেউ মনক্ষুণ্ন হয়ে চলে যেতে চান। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের ‘চোর’ সম্বোধন করেন।

এ সময় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সংবাদকর্মীরা। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয় তাদের।

পরে টেলিভিশন সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি চুরি করে পকেটে পুরে নিয়ে যাচ্ছেন। এর পরপরই সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।

শমী বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে “ভুল বোঝাবুঝি” হয়েছে, যা অনিচ্ছাকৃত। আসলে মুঠোফোন আমাদের সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে সেখানে।’

এই পরিস্থিতিতে প্রধান অতিথি আসার আগেই অনুষ্ঠান সমাপ্ত করে ফেলেন আয়োজকেরা।

শমী কায়সারের ফোন চুরির ঘটনায় চোর বলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিকগণ। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়