মাধবীলতা
কতোকিছু লিখতে ইচ্ছে হয় প্রতিদিন। সব জায়গায় লিখতে ইচ্ছে হয়। খবরের কাগজের প্রথম পাতায় বড় বড় অক্ষরে লিখতে ইচ্ছে হয়। আজ কতো মেয়ের সংসার ভেঙে দিয়েছে লোভী পুরুষ, কতো মেয়ের মর্যাদা নষ্ট করেছে মুখোশধারী পুরুষ। আজ কতজন কাজী সাইন করেন বলে ধমক দিয়ে বলেছে, তালাক কার্যকর। নিষ্ঠুর আর লালায়িত পুরুষ তালাক নামক বীরত্ব নিয়ে বন্ধুর হাত ধরে বাড়ি ফিরে গেছে। কামনার শেষ পেয়ালাটুকু পান করে নারী নামক ধর্ষিতাকে বিসর্জন দিয়ে জন্মানো জারজের গর্বিত পিতা হতে ফিরে গেছে। নতুন কাউকে পতিতা করার ব্রত নিয়ে নতুন কৌশলে অবতীর্ণ হতে ফিরে গেছে। সমাজের গর্ভ আজ ধারণ করে আছে শত শত জারজ ভ্রƒণ। পুঁটলির মধ্যে সদ্যজন্মানো মিথ্যে আর পাপের নিশানা। তবু যেন এর শেষ নেই। এক নারী ধর্ষিত তো আর এক নারী তার সংসারে পানির পেয়ালা হাতে দিবারাত্রি দ-ায়মান। আর সদ্যজাত ভ্রƒণ তাকেই পিতার আসনে বসাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এভাবেই বয়ে চলেছে সমাজের গতি। কতো খবর প্রতিদিন। কতো মানবিক আর্তনাদ চারদিকে। পুঁটলির মধ্যে উঁকি দেয়া নিশানার খোঁজ পেতে কিংবা জন্মদাত্রী কতো নিষ্ঠুরÑতার পরিমাণ গুনতে ব্যস্ত সমাজ কিন্তু যে পুরুষ তার নোংরা বীর্যে পৃথিবীতে আনলো এই নিশানা, তার খোঁজ কেউ করে না। এমনি কাপুরুষের জন্যে নাম লিখিয়েছে এই সমাজ। পুরুষ প্রতারক না হয়ে আর তার অর্জিত বীর্যের অপব্যবহার না করে যদি শুধু মানুষ হতো, তবু বুঝি সমাজ বেঁচে যেতো। তবু বুঝি নারী শুধু নারী না হয়ে মানুষ হতে পারতো।
আপনার মতামত লিখুন :