শিমুল মাহমুদ : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের নামে ইংল্যান্ডে থাকা তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে বিষয়টিকে আমলে নিচ্ছেন না বিএনপির নেতারা। তারা বলেছেন, সরকারের প্রধান টার্গেট হচ্ছে তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবার। তবে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো ক্ষমতা সরকার ও দুদকের নেই। এই কারণে তারা ভিন্ন পথে হাঁটছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়া পরিবারকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা, তাদেরকে জনসমুক্ষে কিভাবে হেয় করা যায়, সেই চেষ্টা তো তাদের(আওয়ামী লীগ) চলছেই, এখন দুদকের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে। এর আগেও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছে কিন্তু সফল হয়নি।
ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই সরকারে প্রধান টার্গেট হচ্ছে, তারেক রহমান বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবার। যে বিচার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। সেই বিচার ব্যবস্থার প্রধান বিচারপ্রতি প্রাণ বাচাঁতে দেশ ছেড়েছে। সে জন্য বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বেশী কথা না বলাই ভালো। এ সরকার নির্বাচিত নয়, এটি মিডনাইড সরকার হিসেবে বিশ্বাসীর কাছে পরিচিত। তাই সরকারে প্রধানমন্ত্রী, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী, বা অন্যান্য মন্ত্রী সর্ম্পকে মন্তব্য করতে চাই না।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন বাংলাদেশ থেকে আদালতের একটা আদেশ পেয়ে কী করতে পারবে? এখানে সরকার তারেক রহমানের ইমেজটা নষ্ট করার জন্য দুদককে ব্যবহার করছে। লন্ডন-আমেরিকা আমাদের দেশের মত আইন বিহীন রাষ্ট্র নয়, সেখানে সবাইকে দেশের আইনকানুন মেনে চলতে হয়। সেখানে আইন সবার জন্য সমান।
তিনি বলেন, লন্ডনে তারেক রহমানের যে অ্যাকাউন্টটা আছে সেটা ঐ দেশের আইনের প্রক্রিয়ায় চলছে এবং নিয়ম মেনেই পরিচালিত হচ্ছে। আর ওখানে যদি ফ্রিজ হয়ে থাকে সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় হয়েছে। যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো ক্ষমতা সরকার ও দুদকের নেই। এই কারণে তারা ভিন্ন পথে হাঁটছেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজির জন্য সরকার এসব করছে। সম্পাদনা : শাহীন চেীধুরী
আপনার মতামত লিখুন :