শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগের দোসররা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে: মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ (ভিডিও) ◈ মধ্যরাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ 'আ. লীগের বিচার না করলে জনগণ আবার আন্দোলনে নামবে' (ভিডিও) ◈ বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি, ২০০ ভরি স্বর্ণ লুট (ভিডিও) ◈ দেশের সব মেডিকেল কলেজে সোমবার ‘একাডেমিক শাটডাউন’ ◈ এবার জামায়াতের আমীরের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শিবির ◈ জুনে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে নেপাল ◈ চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি; ভুক্তভোগী নারীর লোমহর্ষক বর্ণনা! ভিডিও ◈ মধুর ক্যান্টিনে শিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে: ছাত্রদল

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:১১ দুপুর
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:১১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডিপিডিসি টাস্কফোর্সের বিশেষ অভিযানে বকেয়া আদায় সাড়ে ৭শ’ কোটি টাকা

শাহীন চৌধুরী: ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ করার জন্য গঠিত টাক্সফোর্স গত পাঁচ বছরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৭শ’ ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় ৯৯৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং ১ হাজার ৭৫০টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে পরিচালিত ডিপিডিসির টাস্কফোর্সের অভিযানে ২ কোটি ৭৩ লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ চুরির তথ্য উদঘাটিত হয়। এই চুরির জন্য ৫১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে ৩১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। টাস্কফোর্সের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে সূত্রটি দাবি করেছে।

প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ চুরি, অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকি ইত্যাদি নানা বিষয়ে অনিয়ম প্রতিরোধের জন্য ডিপিডিসির তৎকালীন কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী তত্ত্বাবধানে গঠিত হয়েছিল স্পেশাল টাস্কফোর্স। বর্তমানে কোম্পানি সচিব ও সরকারের যুগ্মসচিব জয়ন্ত কুমার সিকদারের তত্ত্বাবধানে প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে দুটি টিম ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় স্পোশাল টাক্সফোর্সের অভিযান পরিচালনা করছে।

এই টাস্কফোর্সের অভিযানে অনিয়ম ও বিদ্যুৎ চুরিতে জড়িত থাকায় একদিকে যেমন গ্রাহকদের জরিমানা ও শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়। এসময় উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে রয়েছে- পোস্তগোলার মেসার্স এসএন আইসকে ৬১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা, বনশ্রীর মো. শওকত আলীর চতুর্থতলা বস্তি থেকে ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা পেনাল বিল আদায়, আদাবরের সাদিক এগ্রো থেকে ৪০ লাখ ৬৯ হাজার টাকার পেনাল বিল আদায়, শ্যামপুরের মেসার্স সোনার তরী ফিসিং এন্ড ক্যাটারিং থেকে ৫৪ লাখ টাকা আদায় ইত্যাদি।

এ প্রসঙ্গে টাস্কফোর্সের প্রধান জয়ন্ত কুমার সিকদার বলেন, নতুন বিদ্যুৎ আইন-২০১৮ অনুযায়ী বিদ্যুৎ চুরির অপরাধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ চুরি করে কোন অপরাধীরই আর রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি গ্রাহকদের এখন থেকেই সতর্ক হয়ে যথাযথ ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়