মঈন মোশাররফ : সম্প্রতি ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করার পর মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর নুসরাতের মৃত্যু হয়। এসব বড় বড় শিরোনাম হওয়ার পর নৈতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত মাদ্রাসাগুলোতে যৌন হয়রানি অবাধে চলছে কিনা এমন প্রশ্ন উঠে।
এ প্রসঙ্গে শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ সম্প্রতি ডয়চে ভেলেকে বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষকরা তো আর অন্য গ্রহ থেকে আসেনি। তারা এই সমাজের পরিবেশেই বেড়ে উঠেছে। মাদ্রাসাগুলোতে যৌন হয়রানি ইদানিং বেড়েছে এমন কথা ঢালাওভাবে বলা যাবে না। আগে সংবাদপত্রগুলো রক্ষণশীলতার কারণে খোঁজ-খবর রাখতো না , তাই সেভাবে গণমাধ্যমে আসতো না। তার মানে মাদ্রাসায় এমন ঘটনা একদম ঘটতো না, সেটা বলা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে, তেমনিভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোও সমাজের একটি অঙ্গ। প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা অস্বীকার করা যাবে না। এগুলো প্রকাশের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :