মাকসুদা লিপি: মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের ওপর যৌন নির্যাতন ও পরে পুড়িয়ে হত্যা ঘটনায় ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতা ও অপেশাদার আচরণের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। একইসঙ্গে দুই পুলিশ সদস্যের সাহসী ভূমিকারও প্রমাণ পেয়েছেন তারা। পুলিশ হেডকোয়ার্টার তদন্ত দলের প্রধান এসএম রুহুল আমিন এ কথা বলেন। চ্যানেল আই
মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজউদদৌলার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলার পর তার জবানবন্দি নিয়েছিলো পুলিশ। নারী পুলিশের উপস্থিতি ছাড়াই নুসরাতের বক্তব্য গ্রহণের সময় সেটা রেকর্ডও করেন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। দায় এড়াতে পরে তিনি নিজেই তা ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যা আসলে ওসির বিরুদ্ধেই প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এখন।
এসএম রুহুল আমিন বলেন, বোরকা পরে অজ্ঞাত ৪জন নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পর আর্তনাদ শুনে মাদ্রাসার কেউ এগিয়ে না গেলেও প্রধান গেটে পরীক্ষার হলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কনস্টেবল দৌড়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনায় পুলিশের পেশাদার আচরণের প্রয়োজনে বিষয়টি সুপারিশ আকারে তুলে ধরবে বলে জানায় তদন্ত কমিটি।
আপনার মতামত লিখুন :