জাবের হোসেন : ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের মাটি উর্বর। আর এখানকার আবহাওয়া শুষ্ক ও উষ্ণ হওয়ায় এখানে সাইট্রাস লেবু জাতীয় ফল চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। লেবু ও মাল্টা চাষ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। গত তিন বছর আগে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় লেবু ও মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন হলদীয়া গ্রামের উদ্যোক্তারা। সূত্র: বাসস
উদ্যোক্তা আব্দুল বাতেন বলেন, সীমান্তে হাতির উপদ্রব থাকায় সাড়ে ৭ একর জমি পতিত পড়ে থাকত। প্রায় চার বছর আগে কৃষি বিভাগের লোকজনের পরার্মশে দুই একর জমিতে সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ব্লক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ও তার নিজ উদ্যোগে আরও আড়াই একর জমিতে লেবু জাতীয় ফলের চাষ শুরু করি। বর্তমানে বাগানে ১৩০০ সীডলেস ও ৫০০ কাগজী লেবু, ১৬০ মাল্টা, ২০ কমলা, ২০ জাম্বুরা ও ৬০টি আম গাছ রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, উপজেলায় সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৬০টি ব্লক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ১৮ হেক্টর জমিতে লেবু জাতীয় ফলের চাষ হয়েছে। এ বছর প্রায় ৫০ টন মাল্টা উৎপাদন হবে বলে আশাবাদি। এই পাহাড়ী সীমান্তবর্তী এলাকায় আবহাওয়া ও জলবায়ু সাইট্রাস (লেবু) জাতীয় চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ বিনামূল্যে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :