আহমেদ শাহেদ : চাঁদপুরের আট উপজেলার মধ্যে ছয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৬ নারী কর্মকর্তা। চাঁদপুরের আট উপজেলার মধ্যে ফরিদগঞ্জ ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাড়া বাকি সবক’টি উপজেলার ইউএনও নারী। চাঁদপুর সদর উপজেলায় কানিজ ফাতেমা, হাজীগঞ্জে বৈশাখী বড়ুয়া, কচুয়ায় নীলিমা আফরোজ, মতলব উত্তরে শারমিন আক্তার, হাইমচরে ফেরদৌসি বেগম ও সর্বশেষ নিয়োগপ্রাপ্ত শাহরাস্তিতে শিরিন আকতার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাদের কর্মজীবন সম্পর্কে খবর নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর সদরে ইউএনও’র দায়িত্ব পালন করছেন কানিজ ফাতেমা। ২৯তম বিসিএস ক্যাডারের এ কর্মকর্তা ২০১৭ সালে এ উপজেলায় যোগদান করার পর জনপ্রশাসন পদক লাভ করেন। সরকার নারীদের মূল্যায়ন করছেন, আবার নারীরাও সরকারের গৃহীত কর্মসূচি অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি মনে করেন।
শাহরাস্তি উপজেলার ইউএনও শিরিন আকতার আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেবেন। এখানে যোগদানের আগে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ৩১তম বিসিএস ক্যাডার।
হাইমচরে নবাগত ইউএনও ফেরদৌসী বেগম। ১৫ এপ্রিল এই দায়িত্বে যোগ দেন। এর পূর্বে তিনি চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ৩০তম বিসিএস ক্যাডারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। হাজীগঞ্জের ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া। এর আগে তিনি ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেড় বছর আগে তিনি ইউএনও হিসেবে হাজীগঞ্জে উপজেলায় যোগদান করেন।
কচুয়ার ইউএনও নীলিমা আফরোজ। তিনি বলেন, ‘সরকার যেভাবে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে আনছে, তাতে আমার মনে হয় বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ নারী নেতৃত্বে প্রথম হবে। আমরা মেয়েরা সবাই সাহস পাচ্ছি। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছি।’ কচুয়ার জনগণের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি যথেষ্ট খুশি।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষের সেবা করতে চাই। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি এবং কাজ করে যাবো।’
হাজীগঞ্জের ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নেতৃত্বের প্রসারে এটি একটি অনন্য উদাহরণ। আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বটুকু অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সঙ্গে পালনের চেষ্টা করি।
আপনার মতামত লিখুন :