মৌরী সিদ্দিকা : বাংলামোটর, ইস্কাটন মগবাজারসহ আশপাশের এলাকা জলজট ও দূষণমুক্ত করতে বেগুনবাড়ী খাল সচলের তাগিদ দিচ্ছেন নগর ও পরিবেশবিদেরা। তারা বলছেন, বিজিএমইএ ভবন ভাঙলেই এ খালের প্রবাহ স্বাভাবিক হবে না। হাতিরঝিলে সঙ্গে আবারও সংযুক্ত করতে হবে। রেল সেতু ও বক্স কার্লভার্টটি বড় করতে হবে। এজন্য একটি কমিটি করার পরামর্শও তাদের।-ইন্ডিপেন্ডেট
জলাশয়ের ওপর এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এভাবেই দাঁড়িয়ে বিজিএমইএ ভবন। আর এতেই বন্ধ হয়ে গেছে বেগুনবাড়ী খাল বা হাতিরঝিলের শুরুর অংশের পানিপ্রবাহ।
সোনারগাঁও হোটেলের গা ঘেঁসে বয়ে চলা বেগুনবাড়ি খালে প্রতিদিন জমা হচ্ছে ধানমন্ডি, ইস্কাটন ও সংসদ ভবন এলাকার দূষিত পানি, পয়ঃবর্জ্য ও আবর্জনা। বিজিএমইএ ভবন অংশে খালের মুখ বন্ধ হওয়ায় ভাগাড়ে পরিণত এই এলাকা।
প্রকল্পের স্থপতি ইকবাল হাবিব বলছেন, শুধু ভবন সরালেই হবে না, খালটির পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করতে রেল সেতুর পরিধি এবং মগবাজার সড়কের ছোট কালভার্টটি আরো বড় করতে হবে।
বিজিএমইএ ভবনের কারণেই হাতিরঝিল প্রকল্পের থেকে এই অংশটুকুর উন্নয়ন হয়নি। নতুন বিনিয়োগ করতে হবে। বেগুনবাড়ির খালের প্রবাহ ঠিক রাখতে রেল লাইনের নিচের সেতু এবং পূর্ব দিকের বক্স কালভার্ট সম্প্রসারণ করতে হবে।
বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মনে করেন, এই ভবন সত্যি যদি ভেঙ্গে ফেলে তাহলে বুঝবো যে সরকার অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে। তবে এতোদিন উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে এই ভবন কিভাবে গড়ে উঠল; সেই সময়ের রাজউকের কর্মকর্তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বর্জ্য ১১ পয়েন্ট দিয়ে ঢোকে হাতিরঝিলে। নগরবিদদের মতে, বেগুনবাড়ী খাল সচল হলে জলজট ও দূষণমুক্ত হবে বাংলামোটর, ইস্কাটন মগবাজারসহ আশপাশের এলাকা।