হ্যাপি আক্তার : দেশের চারটি এয়ারলাইন্সের কাছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পাওনা প্রায় ৩ হাজার ৪’শ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু বিমানের বকেয়াই প্রায় ৩ হাজার ৭৫ কোটি আর রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে বকেয়া প্রায় ১৯০ কোটি টাকা। এই অবস্থায় দেশীয় কোম্পানি হিসেবে সারচার্জ মওকুফসহ বিশেষ সুবিধা চায় এয়ারলাইন্সগুলো। তবে সে সুযোগ নেই বলে জানালেন সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বা সিভিল এভিয়েশন অথরিটি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গুলোর কাছ থেকে অ্যারোনটিক্যাল চার্জ ও নন অ্যারোনটিক্যাল চার্জ নিয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ওভার ফ্লাইং, বিমান ল্যান্ডিং, পার্কিং, রুট নেভিগেশন, বোর্ডিং ব্রিজ চার্জ।
এসব সুবিধা নিয়ে টাকা পরিশোধ করেনি এ তালিকায় শীর্ষে আছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমানের কাছে সিভিল এভিয়েশনের পাওনা প্রায় ৩ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সারচার্জ ১ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। এছাড়া রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে পাওনা প্রায় ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সারচার্জ প্রায় ৬৮ কোটি টাকা। এরপর ৮৪ কোটি বকেয়া নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউএস বাংলা আর নভো এয়ারের কাছে বাকি ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাঈস হাসান বলেন, বারবার সুযোগ দেয়া পরও অনেক সংস্থা পাওনা পরিশোধ করছে না।
তবে বিমানের দাবি দেশীয় এয়ারলাইন্স হিসেবে চার্জ প্রদানে বিশেষ সুবিধা চায় তারা। আর রিজেন্ট এয়ার চাচ্ছে সারচার্জ মওকুফ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, দেশী বা বিদেশি এয়ারলাইন্স যেভাবে বিল পরিশোধ করছে, সেভাবেই আমাদের বিল পরিশোধ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের একটি আবেদন আছে তা যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে এই বকেয়ার পরিমান কমে আসবে এবং বকেয়া পরিশোধ করা অনেক সহজ হবে।
রিসেন্ট এয়ারওয়েজের সিইও আশীষ রায় চৌধুরী বলেন, লিজের টাকা দিতেই হবে। আমাদের আসল আছে তা ভাগ করে দিয়ে দিতে চাই। চার্জের যে টাকা আছে তা মওকুফ চাই।
ইতিমধ্যে বকেয়া চার্জ না দিয়েই বন্ধ হয়ে গেছে জিএমজি ও ইউনাইটেড এয়ার। বাধ্য হয়ে তাই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। সম্পাদনা : মিলন
আপনার মতামত লিখুন :