শিমুল মাহমুদ : বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক মৃত্যুতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহা-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফা শোক প্রকাশ করেছেন।
এর আগে গত মাচের প্রথম সপ্তাহে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করে ফিরে এসে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মরহুমের জানাযার নামাজ বিকেল সাড়ে ৫ টায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামানে অনুষ্ঠিত হবে।
শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল বলেন, খ্যাতিমান আইনজীবি, আইন প্রণেতা ও সরকারের নানা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে ব্যারিস্টার আমিনুল হক সাহেব যে অবদান রেখেছেন তা নি:সন্দেহে প্রশংসনীয়। সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনকল্যানমূলক কাজেও তিনি যে অবদান রেখেছেন সেজন্য এলাকাবাসী তাঁকে একজন আস্থাভাজন নেতা হিসেবে বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে বিশ্বাসী, সৎ, কর্তব্যনিষ্ঠ ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ মরহুম আমিনুল হক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে নীতির প্রশ্নে তিনি কখনো আপোষ করেননি। রাজরোষে পড়া সত্বেও তিনি তাঁর আদর্শ থেকে কখনোই বিচ্যুৎ হননি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী স্বভাবের একজন মানুষ।
তিনি বলেন, বর্তমান দু:সময়ে ভয় ও আশঙ্কার বিরাজমান পরিবেশে ব্যারিস্টার আমিনুল হক সাহেবের মতো একজন বলিষ্ঠ আইনজীবির উপস্থিতি খুবই আবশ্যক ছিল। তাঁর ইহধাম ত্যাগ আমাদের মধ্যে গভীর শুন্যতার সৃষ্টি করবে। আমি মরহুম আমিনুল হক এর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
আমিনুল হক বিএনপির মনোনয়নে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগ পর্যন্ত এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
আপনার মতামত লিখুন :