কেএম নাহিদ : শিক্ষাবিদ এবং গণসাক্ষরতার প্রধান রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিকেন্দ্রিক এবং জিপিএ নির্ভর হয়ে গেছে। কোনো উদ্ভাবনী কাজে পরিবার থেকে উৎসাহ দেয় না। তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক কাজে থেকে বিরত রাখে। এছাড়া বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ নেই। পরীক্ষা পাস আর চাকরি পাওয়ার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা চলে আসছে, আর ছেলে-মেয়েরা শুধু চাকরির জন্য পড়াশোনা করছেন। রোববার বিবিসি সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটা চ্যালেঞ্জ । এ কারণে মূল্যায়নের জায়গায় যেতে হলে শিক্ষার্থীকে ৪টি পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। ফলে বিজ্ঞান চর্চায় আর আগ্রহ থাকে না। পরীক্ষা পাসই মুখ্য হয়ে ওঠে। দ্বিতীয়তো আমাদের মানবসম্পদ সক্ষমতার জায়গা থেকে শিক্ষাকদের ঘাটতি আছে। একজন পঞ্চম শ্রেনির ছাত্র যদি কেনো প্রকল্পকেন্দ্রিক চিন্তা করে তখন তার পরিবার থেকে তাকে নিরসাহিত করা হয়। বিজ্ঞান বা উদ্ভাবনী কাজে তেমন উৎসাহ দেয়া হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম ২০১০-এ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা বিজ্ঞানভিত্তিক অনেক দিক নির্দেশনা আছে। বিজ্ঞান শিক্ষকের অভাব এবং ব্যবস্থাপনার অভাবে আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক চর্চায় এগুতে পারছি না। অসুস্থ পাস করা প্রবণতা ও কর্মজীবনে প্রবেশ করতে হবেই এই চিন্তা থেকে বিজ্ঞান চর্চায় তেমন সাড়া পাচ্ছি না। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সত্ত্বা বিকাশে সুযোগ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিজ্ঞানভিত্তিক, সংস্কৃতি, ক্রীড়া চর্চায় উৎসাহিত করতে হবে।