সৌরভ নূর : বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। সেই অর্ধেকের উপর নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেকেই বলছেন তনু, মিতা, সাগর-রুনিসহ ইতোপূর্বের হত্যাকা-গুলোর বিচার না হওয়াতে নুসরাত হত্যাকা-ের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। তখন দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ হলেও কোনো বিচার হয়নি, অপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়নি। ফলে পরবর্তী সময়ে বেড়েছে নারীর উপর সহিংসতার ঘটনা।
নুসরাতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর প্রত্যেক বাবা-মার মনে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা ও ভীতি। মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান নারীর প্রতি সহিংসতা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন এখন একটি জাতীয় ইস্যু। নারী নির্যাতন ও বৈষম্যের গোড়াপত্তন হয় পরিবার থেকেই। নারী সদস্যদের অপেক্ষাকৃত আলাদাভাবে দেখা হয়। পারিবারিক সম্পত্তি বণ্টন, লেখাপড়া, চলাফেরা সব কিছুতেই নারীরা ভোগান্তির সম্মুখীন হন। এসব নির্যাতনের বেড়াজাল থেকে উত্তরণের জন্য নারীদেরই সর্বপ্রথম প্রতিবাদী ও সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
এছাড়া গণমাধ্যমের সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপের মাধ্যমে গণসচেতনা বৃদ্ধি করে নারী নির্যাতন রোধ করা সম্ভব। গণমাধ্যম হলো সমাজের চোখ। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে গণমাধ্যমের বিকল্প নেই। শুধুমাত্র গণসচেতনতাই পারে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :