আব্দুর রাজ্জাক : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যেই দেশটির ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির ৭ লাখ ৭৫ হাজার নেতাকর্মীকে দারিদ্র বিরোধী ক্যাম্পেইনে নামানো হয়েছে। দেশটি গ্রাম এলাকাগুলোতে দারিদ্র বিমোচনে পরামর্শক কর্মকর্তাও নিয়োগ করেছে। সিএনএন।
প্রায় দেড়শ কোটি জনগণের এই দেশটি দৈনিক ১.১০ ডলার ও বার্ষিক ৪১৬ ডলারের আয়কে দারিদ্রসীমা হিসেবে নির্দিষ্ট করেছে। তবে বিশ্বব্যাংকের দারিদ্রসীমা অনুযায়ী দৈনিক ১.৯০ ডলার ও বার্ষিক ৭শ ডলার আয়কে দরিদ্র হিসেবে অভিহিত করা হয়।
চীনের গুইঝোও প্রদেশের লিপিং কাউন্টির একটি গ্রাম গাইবাও। ২০১৫ সালে এক ভাষণে শি জিনপিং ২০২০ সালের মধ্যে দারিদ্র দূরীকরণে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার অংশ হিসেবে ২০১৮ সাল থেকে এই গ্রামে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন উ ইউশেংকে নামে একজন কর্মকর্তা। প্রাদেশিক এই দারিদ্র দূরীকরণ কর্মকর্তার পরামর্শ ও সহায়তায় গাইবাও গ্রামের বাসিন্দারা এখন তাদের প্রাত্যহিক জীবনের ওপর সর্টফিল্ম তৈরি করছে। এই ফিল্মগুলো ইউটিউবে আপলোড করে গ্রামবাসিরা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি কৃষিকাজে অন্যদের উৎসাহিতও করছে।
শি জিনপিংয়ের প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সম্ভবত আগামী বছর দারিদ্র দূর হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়া হতে পারে কিন্তু তা বাস্তব সম্মত হবে না।
উল্লেখ্য, চীনের জনক মাও সেতুং এর সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মতো করে কর্মসংস্থানে বিপ্লব ঘটাতে চীন সরকার ইতোমধ্যেই ১ কোটির বেশি যুবককে গ্রামে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের মাধ্যমে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়ে ও প্রশিক্ষণ দিয়ে দলটির যুব শাখা এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
আপনার মতামত লিখুন :