নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব হিসেবে বেশ সুনাম আছে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের। ফুটবল ও ক্রিকেট দুই ক্ষেত্রেই এক ব্যাপক প্রভাব ছিল এই ক্লাবের।কিন্তু বেশ ক’বছর ধরে ফুটবল অঙ্গনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মোহামেডানের ঐতিহ্য। একই ধারা দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও। চলতি ঢাকা লিগে হেরেই চলেছে মোহামেডান।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে আজ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ডিপিএলের সুপার লীগ পর্বের এই ম্যাচটিতে মোহামেডানের ছুঁড়ে দেয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৯ বল হাতে রেখেই টপকে যায় শেখ জামাল।
আর দলের জয়ে সবথেকে বড় ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক সোহান। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন তান্নাও দারুণ পারফর্মেন্স উপহার দিয়েছেন ম্যাচটিতে। ৮৮ বলে ৫৪ রান করে দলের জয় তরান্বিত করেছেন এই ওপেনার।
তবে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো ছিল না শেখ জামালের। দলীয় মাত্র ১৩ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিলো তারা। এরপরেই অবশ্য হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ইমতিয়াজ।
১৩৩ রানের সময় তিনি আউট হলেও পরবর্তীতে সোহানের অপরাজিত ইনিংসটির সুবাদে বড় জয়ের দেখা পায় শেখ জামাল। মোহামেডানের পক্ষে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শফিউল ইসলাম, সোহাগ গাজি এবং সাকলাইন সজীব।
এর আগে ম্যাচটির শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে মাত্র ১৫৯ রানে অলআউট হয় সোহাগ গাজির মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এদিন ব্যাট হাতে অনেকটা একাই লড়াই করেছেন অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান।
শেখ জামাল বোলারদের দারুণ পারফর্মেন্সের সামনে ৮৫ বলে ৫৬ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন তুষার। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করতে পেরেছেন ওপেনার লিটন দাস। আর ২১ রান এসেছে মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাট থেকে। মোহামেডানকে ৪৪.৪ ওভারে অলআউট করায় নেতৃত্ব দিয়েছেন স্পিনার তানবির হায়দার।
২৭ বছর বয়সী এই লেগি ৪.৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৬ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়াও ৩২ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার খালেদ আহমেদ। আর নাসির হোসেন, তাইজুল ইসলাম, ইলিয়াস সানি এবং এনামুল হক প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন।