নিউজ ডেস্ক : এ বছর বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের চার ধাপ পিছিয়েছে। গণমাধ্যম পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তৈরি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১৫০তম। ২০১৮ সালে ছিল ১৪৬তম।
ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (আরএসএফ) ওয়েবসাইটে বুধবার এ সূচক প্রকাশ করা হয়।
এবারও সূচকে ১৮০টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যে কোনো সময়ের চেয়ে খারাপ। রাশিয়ার অবস্থান বাংলাদেশের ঠিক আগে হলেও চীন (১৭৭তম)এক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে ।
সূচকের সঙ্গে প্রতিটি দেশের গণমাধ্যম পরিস্থিতির ওপর একটি সারসংক্ষেপ দেয়া হয়েছে। 'কঠিনতর রাজনীতি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার আরও বেশি লঙ্ঘন' শিরোনামে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের শেষে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়ে যায়।
এ সময় মাঠ পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কর্মীদের সহিংসতার শিকার হন সাংবাদিকরা। অযৌক্তিকভাবে বেশ কিছু অনলাইন সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয় এবং কয়েকজন সাংবাদিককেও গ্রেফতার করা হয়।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত চিত্রসাংবাদিক শহিদুল আলমের ১০০ দিন জেল খাটার ঘটনা উল্লেখ করে বাংলাদেশ অংশে আরও বলা হয়েছে, কেউ সরকারের বিরক্তির কারণ হলে তাকে থামাতে কীভাবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হয়, এটি তার দৃষ্টান্ত।
এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবরে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ ১৪ বছর শাস্তির বিধান রাখা হয়।
অন্যদিকে, অসাম্প্রদায়িক সমাজের জন্য কথা বলা বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও ব্লগার ইসলামপন্থি জঙ্গিদের হাতে খুন ও হামলার শিকার হন।
সূচকে ১৮০টি দেশকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে, যেখানে গণমাধ্যমের জন্য ভালো পরিবেশ থাকা ক্যাটাগরিতে রয়েছে মাত্র ১৫টি দেশের নাম। সন্তোষজনক পরিস্থিতি রয়েছে ২৮টি দেশে। সাংবাদিকতার জন্য সমস্যাপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে ৬৬টি দেশে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একটি।
আর সাংবাদিকতার জন্য কঠিন পরিবেশ বিরাজমান ৫২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে রাশিয়াও। সবশেষ ক্যাটাগরি সাংবাদিকতার জন্য খুবই খারাপ পরিস্থিতির দেশ রয়েছে ১৯টি, যার মধ্যে চীনের নাম রয়েছে। সূচকে সবার নিচে আছে তুর্কমেনিস্তান, তার ওপরে উত্তর কোরিয়া।
সূত্র : যুগান্তর।
আপনার মতামত লিখুন :