শিরোনাম
◈ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান (ভিডিও) ◈ এবার যা বললেন বনশ্রীতে গুলিবিদ্ধ হওয়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী (ভিডিও) ◈ সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে ভয়াবহ আগুন, নেভানোর চেষ্টা স্থানীয়দের (ভিডিও) ◈ মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকায় ১৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ◈ কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করলেন আসিফ নজরুল (ভিডিও) ◈ কক্সবাজার বিমানঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১ ◈ স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলির কথা শুনেও গেট খোলেননি বাড়িওয়ালা-দারোয়ান! ◈ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার ◈ পাকিস্তান আউটের আবেদন করলে কোহলির ভাগ্যে সেঞ্চুরি জুটতো না, খেলার ফলাফল উল্টো হতে পারতো ◈ লড়াই করেও হেরে গেলো নাপোলি

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৯:২২ সকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৯:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নারীদের নাক ও কান ফোঁড়ানো প্রসঙ্গে ইসলাম কি বলে

ডেস্ক রিপোর্ট : নারীদের নাক ও কান ফোঁড়ানো নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। অনেকে এটাকে আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির পরিবতর্ন বলে তা করতে নিষেধ করেন। অনেকে আবার বলেন, নারীদের অলংকার পরিধানের জন্য নাক বা কান ফোঁড়ানো সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তনের নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন নয়। বরং নারীদের নাক ও কানে অলংকার পরিধানের জন্য নাক ও কান ফোঁড়ানো জায়েজ। আসুন জেনে নেই এ ব্যাপারে ইসলাম কি বলে।আওয়ার ইসলাম।

হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি এক ব্যক্তিকে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছি, আপনি আজহা বা ফিতরের কোনো ঈদে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন? তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। অবশ্য তার সঙ্গে আমার এত ঘনিষ্ঠতা না থাকলে স্বল্প বয়সের কারণে আমি তার সঙ্গে উপস্থিত হতে পারতাম না। তিনি আরও বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বের হলেন। তারপর নামাজ আদায় করলেন, এরপর খুতবা দিলেন। ইবনে আব্বাস (রা.) আজান ও ইকামতের কথা উল্লেখ করেননি। এরপর তিনি মহিলাদের কাছে এলেন এবং তাদেরকে ওয়াজ-নসিহত করলেন। তাদেরকে দান-সদকা করার আদেশ দিলেন। আমি দেখলাম, তারা তাদের কান ও গলার দিকে হাত প্রসারিত করে (কান ও গলায় পরিহিত গয়নাগুলো) হজরত বিলাল (রা.)-এর কাছে দিচ্ছে। এর পর হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হজরত বিলাল (রা.)-এর গৃহে গমন করলেন। (সহিহ বোখারি: ৫২৪৯)

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। এর পূর্বে ও পরে কোনো নামাজ আদায় করেননি। তারপর তিনি নারীদের কাছে আসলেন। সঙ্গে ছিল হজরত বেলাল (রা.)। তারপর তিনি নারীদের দান করতে আদেশ দিলেন। তখন নারীরা তাদের কানের দুল ও গলার হার দান করতে লাগল। (সহিহ বোখারি: ৯৬৪)

উপরের হাসিদ দ্বারা বুঝা যায় হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ থেকে নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো হতো। হাদিসে এ বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা করা হয়নি। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ফরজ গোসল ও অজুর সময় যেন অলংকার ভেদ করে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছায়। না হলে তার অজু-গোসল কোনোটাই হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়