আনিসুল হক, ভিয়েনা (অষ্ট্রিয়া) থেকে: অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ঊদযাপিত হয়েছে। দিবসটি স্মরণে ১৭ এপ্রিল বুধবার বিকেলে ভিয়েনার হউফসাইলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কার্যালয়ের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের রাষ্ট্রদূত মো: আবু জাফর। সঞ্চালনা করেন কাউন্সেলর ও চ্যান্সারী প্রধান রাহাত বিন জামান।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন, রাষ্ট্রদূত মো: আবু জাফর। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও চ্যান্সারী প্রধান রাহাত বিন জামান।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অষ্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা বায়েজিদ মীর, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহী দাস সাহা, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতা আহমেদ ফিরোজ, আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ইয়াসিম মিয়া বাবু প্রমুখ।
রাষ্ট্রদূত মো: আবু জাফর তাঁর বক্তব্যে ১৭ এপ্রিলকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে বিপ্লবী মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।’
এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথে ১৭ এপ্রিল একটি ঐতিহাসিক দিন। আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুজিবনগর বিপ্লবী সরকার অত্যান্ত দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক কর্মকান্ড, কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বিশ্ব জনমত গঠন এবং এক কোটিরও অধিক উদ্বাস্তের পুনর্বাসন কার্যক্রম খুব ভালভাবে করতে পেরেছিল।’
খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, মুজিবনগর সরকারের সাহসি ভ’মিকার কারণেই ৯ মাসে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আজ আমরা তাঁদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
আলোচনার পর বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাসহ সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার পরিচালনা ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল সদস্যদের এবং দেশ ও জাতির সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন, দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার জুবায়দুল হক চৌধুরী। ভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
আপনার মতামত লিখুন :