শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে ১০ বছর আগে যা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ◈ জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করবে, জানালেন সেক্রেটারি গোলাম পরোয়ার ◈ ৫৩ বছর দেখেছি, আমরা আরও দু-এক বছর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দেখতে চাই:  নুরুল হক (ভিডিও) ◈ নবীনগরে বিপনী মার্কেটে আগুন, পুড়ে ছাই ১২ দোকান ◈ ‘ওরেশনিক’ রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক ◈ মাগুরায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার ◈ জয়নাল থেকে বনে গেছেন ডা.আরিফ, নেই কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা (ভিডিও) ◈ গুমের বিচার ও গুম বিলুপ্ত করা আমাদের টপ প্রায়োরিটি : প্রেস সচিব ◈ ঢাকা মহানগরীতে মহাদুর্ভোগ

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:১৭ সকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সম্পত্তিতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে নারী জাগরণ সম্ভব নয়, বললেন মালেকা বানু

জুয়েল খান : নারীবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা যখন কোনো নারী সহিংসতার শিকার হলে এগিয়ে যাই তখন দেখি সেই নারী আর্থিক সামর্থ্য না থাকার কারণেই কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। সে বলে আমার কোনো ধরনের আর্থিক সক্ষমতা নেই, আমি দাঁড়াবো কোথায়। কিন্তু সে যদি তার পিতার সম্পদের ভাগ পেতো তাহলে তার আর্থিক সামর্থ্য থাকতো এবং নিজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারতো বলে মনে করেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নারী নেত্রী মালেকা বানু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ নারী তার স্বামীর দ্বারা সহিংসতার শিকার হচ্ছে। সভ্যতার এই যুগে এসে যদি নারীদের প্রতি সমাজ এমন আচরণ করে তাহলে এই সমাজকে কী সভ্য সমাজ বলা যায়? যে সমাজে নারী এখনও শতভাগ নিরাপদ নয় সেই সমাজ কীভাবে নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়ে সমানভাবে এগোবে। নারীও মানুষ তাই নারীর প্রতি আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। সবার আগে এই বোধটা মানুষের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে, আর এটার জন্য আমাদের শিক্ষাদীক্ষা, সামাজিক রিতিনীতি এবং আইনের মধ্য দিয়ে করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষা কারিকুলামেও নারীর মানবাধিকারের বিষয়টিও হাইলাইট করা হয় না। নারীর মানবাধিকার, নারী-পুরুষের সমতা এবং মানবাধিকারের বিষয়কে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কিন্তু বর্তমানের যে শিক্ষা কারিকুলাম করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে নারীর পোশাক-আশাকসহ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে নারীকে আরও ছোট করা হয়েছে। এছাড়া গণমাধ্যমেও নারীর ইতিবাচক ভূমিকাকে অবশ্যই ভালোভাবে তুলে ধরতে হবে। নারী শুধু সন্তান লালন-পালন করবে, সংসারের কাজ করবে এমন ধারণা থেকে আমাদের সমাজকে বেরিয়ে আসতে হবে। নারীকে তার সাংসারিক কাজকর্মে সহায়তা করতে হবে। এছাড়া নারীকে তার পেশাগত কাজে সহায়তা করতে হবে।

তিনি জানান, আমাদের পরিবারের যদি অল্প পয়সা থাকে তাহলে আমরা ছেলের পড়ার জন্য টাকাটা খরচ করি আর যদি বেশি পয়সা থাকে সেক্ষেত্রে মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য টাকাটা রেখে দিই, কিন্তু আমরা মেয়ের পড়ালেখার জন্য পয়সা খরচ করি না। এখন সময় এসেছে নারীকে একজন মানুষ হিসেবে মনে করা, নারীকে অধিকার দিতে হবে। তাকে আর্থিকভাবে অধিকার দিতে হবে সম্পত্তির। সবার আগে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মুসলিম সমাজে পিতার সম্পত্তিতে নারীর কিছুটা অধিকার থাকলেও হিন্দু সমাজে নারীর কোনো ধরনের অধিকার এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি। যখন পিতার সম্পত্তিতে নারীর অধিকার নেই তখন সমাজ তাকে এমনিতেই ছোট করে দেখবে। সুতরাং এই জায়গাটায় সবার আগে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়