শিরোনাম
◈ রাষ্ট্রদূত হলেন সদ্য সাবেক আইজিপি ময়নুল ◈ চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলো ভারত সরকার ◈ ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ, এবার হেরে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ◈ বাংলাদেশ- আয়ারল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে বুধবার, আধুনিকতার ছোঁয়ায় উন্মোচিত হলো ট্রফি ◈ অনেকেই মনে করছেন ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক দূরত্বের কারণে আইপিএল নিলামে উপেক্ষিত বাংলাদেশিরা ◈ আলিফকে দলীয় কর্মী দাবি করে জামায়াত আমিরের নিন্দা, সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান ◈ দেশের বাজারে আবারও ভরিতে সোনার দাম কমল ২৮২৩ টাকা ◈ যে কোন মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখব : তারেক রহমান ◈ বিএনপির মতবিনিময় সভায় ছাত্রলীগকে গণধোলাই দিতে বলা সেই ওসিকে বদলি

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:১২ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:১২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শাবান মাস যেভাবে অতিবাহিত করতেন রাসূল সা.

আল-আমিন : রাসুল সা. শাবান মাসকে তাঁর নিজের মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি শাবান মাসে রোজা পালনের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করেছেন। শাবান এমনই ফজিলতপূর্ণ মাস; যে মাসে আল্লাহ তাআলা তাঁর রহমত ও বরকতের মাধ্যমে বান্দার সব চাহিদা পূরণ করেন। আর যে ব্যক্তি এ মাসে প্রবেশ করবে, সে আল্লাহর রহমতের অন্তর্ভূক্ত হবে।

শাবান মাসের ইবাদাত-বন্দেগির মধ্যে রোজার গুরুত্ব বেশি হওয়ায় প্রিয়নবি সা. এ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন। শাবানের ০১ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত রোজা পালনের বিশেষ ফজিলতের কথা বিভিন্ন হাদিসে ও উম্মাহুতুল মুমিনিনগণের বক্তব্যে পাওয়া যায়। হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সা. রোজা রাখতে থাকতেন যাতে আমরা বলতাম যে, তিনি (এ মাসে) আর রোজা ছাড়বেন না; আবার তিনি রোজা ভাঙ্গতে শুরু করতেন, যাতে আমরা বলতাম যে, তিনি (এ মাসে) আর রোজা রাখবেন না। আমি রাসুলুল্লাহ সা. কে রমজান মাস ছাড়া আর কখনো পূর্ণ মাস রোজা রাখতে দেখিনি। আর তাঁকে শাবান মাস ব্যতিত কোনো মাসে এতো বেশি রোজা রাখতেও দেখিনি।

অপর বর্ণনায় এসেছে, তিনি (আয়েশা রা.) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ শাবানের পূর্ণ মাসই রোজা রাখতেন। তিনি শাবানের রোজা রাখতেন তবে অল্প কিছুদিন (রাখতেন না)। (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, বাইহাকি, আবু দাউদ, মিশকাত) হজরত উসামা রা. বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহ সা. কে এ মাসে (শাবান) বেশি বেশি রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলাম। তিনি উত্তরে বললেন, ‘লোকেরা রজব ও রমজান এ দুই মাসের গুরুত্ব বেশি দেয় এবং রোজাও রাখে। কিন্তু মধ্যবর্তী এ মাসটিকে উপেক্ষা করে চলে। অথচ এ মাসেই বান্দার আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হয়। আর আমার কামনা হলো- আমার আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করার সময় আমি রোজা অবস্থায় থাকি। এ কারণেই আমি শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখি। (নাসাঈ, আবু দাউদ)

হজরত আলি রা. থেকে বর্ণিত, রা. ইরশাদ করেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে, সে রাতে তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখ।’ (ইবনে মাজাহ) প্রিয়নবি সা. বলেছেন, ‘শাবান হচ্ছে আমার মাস, যে কেউ এ মাসে আমাকে সাহায্য করবে আল্লাহ তাআলা তার ওপর বিশেষ রহমত ও বরকত নাজিল করবেন। আর রাসুলুল্লাহ সা. কে সাহায্য করা বলতে তাঁর সুন্নতের ওপর আমল করাকেই বুঝানো হয়েছে।

তিনি শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা পালনের পাশাপাশি ইস্তেগফার ও দরুদ শরিফ পাঠের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হিজরি বছরের তিনটি মাস তথা রজব, শাবান ও রমজান; এ তিনটি মাসেই অধিক ইস্তেগফার ও দরুদ শরিফ পাঠের সুপারিশ করা হয়েছে। অবশ্য তম্মধ্যে শাবান মাসের ওপর বেশি তাগিদ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা পালন করে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়