নুর নাহার : নদীবন্দর চাঁদপুর। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে নৌপথে লঞ্চ হচ্ছে এই জনপদের যাত্রীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন। তবে এ সময় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ছোটবড় লঞ্চগুলো। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রী ও লঞ্চ চালকরা। তাছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় শত শত যাত্রীদের জন্য চাঁদপুরে নেই নির্ধারিত টার্মিনাল অথবা আশ্রয়ের জায়গা। সময় টিভি
নির্ধারিত সময় গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া এবং আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য প্রতিদিন হাজারো যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন নদীপথে। তবে মৌসুমের এই সময় হঠাৎ কাল বৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে এসব যাত্রীদের বাহন লঞ্চগুলো। কখনো মাঝ নদীতে আবার কখনো নির্ধারিত গন্তবে। এমন অবস্থায় মাঝ নদীতে পরিস্থিতি মোকাবেলায় লঞ্চ চালকদেরও সতর্ক থাকতে হয়। বৈরী আবহাওয়ায় নদীতে একদিকে আতঙ্ক, অন্যদিকে টার্মিনালে দুর্ভোগ এই নিয়েই অভিযোগ যাত্রীদের।
এক লঞ্চ চালক জানান, জাহাজ ছাড়ার পর হঠাৎ করে কাল বৈশাখী শুরু হয়। সে সময়ে আমরা চেষ্টা করি যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর জন্য। কিন্তু চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। এক যাত্রী জানান, টার্মিনালে কোন যাত্রী ছাউনি নেই। বৃষ্টি নামলে কোথাও আশ্রয় নেয়ার জায়গা পাইনা এখানে একটি আধুনিক নৌটার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও তার কাজ সহসাই শুরু হচ্ছে না। এমন অবস্থায় লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ।
বিআইডব্লিউটিএ এ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যাত্রীদের এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আগামী নভেম্বরে এখানে আধুনিক টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে, পরিস্থিতির আলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মঈনুল হাসান। তিনি বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করছে। তারা সব সময় বিআইডব্লিউটিএ কে সহযোগিতা করবে। যাতে যাত্রীদের কোন দুর্ভোগ না হয়।