নুর নাহার : শুরু হলো হাতিরঝিলের বিষফোঁড়া বিজিএমইএ ভবন অপসারণ পর্ব। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার পর ভবনের প্রতিটি ফ্লোর ও মূল ফটক সিলগালা করে দেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এর মাধ্যমে ১৫ তলা ভবনটি ভাঙার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো বলে দাবি করছে রাজউক। পুরো ভবন ভাঙতে ‘ডিনামাইট’সহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেওয়ার কারণে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলেও জানিয়েছেন রাজউক কর্মকর্তারা। সময় টিভি
পোশাক শিল্পের স্বার্থ বিবেচনায় হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে কয়েক দফায় সময়সীমা বাড়িয়ে দেন উচ্চ আদালত। গেল বছর মুচলেকা দিয়ে ১ বছর সময় বাড়িয়ে নেয় বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ; যা শেষ হয় গেল ১২ এপ্রিল। এর ৪ দিন পর মঙ্গলবার সকালে ভবন ভাঙার কাজে ব্যবহারের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে বিজিএমইএ ভবনে হাজির হন রাজউক কর্মকর্তারা।
রাজউকের প্রশাসন বিভাগের পরিচালক খন্দকার অলিউর রহমান বলেন, কাজ করতে তো কিছুটা সময় লাগবে। এখানে টেকনিক্যাল বিষয় আছে, ম্যানেজমেন্টের বিষয় আছে। তবে আমরা কাজ শুরু করেছি এবং দ্রুত শেষ করবো
এদিকে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার পর আরেক দফা সময় বাড়ানো হয় ভবন সিলগালা করার জন্য। পরে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বেশিরভাগ মালামাল সরিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এরপরই পুরো ভবনটির সব কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এএসএম রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, যাদের মালামাল এখনো আছে- তারা রাজউক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে। কর্তৃপক্ষ যদি বিবেচনা করে- তাহলে তাদের একটা সুবিধাজনক সময় দেয়া হবে। তারা এসে নিয়ে যাবে। ভবনটি এখন সিলগালা করা হয়েছে এবং এখানে পরবর্তীতে কেউ বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবে না।
রাজউক বলছে, ভবন ভাঙতে নানা ধরনের যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহারে গ্যাস বিদ্যুৎ সংযোগ প্রয়োজন হতে পারে বলেই এসব সংযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।