মহসীন কবির: টাঙ্গাইলের পাটকল শ্রমিক জাহালম প্রশ্নে এবং ব্যাংকের ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা সব মামলার (৩৩টি) নথিপত্র দাখিল করার নির্দেশ থাকলেও মাত্র একটি মামলার নথি দাখিল করেছে দুদক। বুধবার ১৭ এপ্রিল সকালে হাইকের্টে হাজির হয়েছেন জাহালম।
এদিকে ১১ এপ্রিল জাহালম কেমন আছেন, এখন কী করছেন, তাঁর জীবন কিভাবে চলছে, তা জানার জন্য ওই দিন জাহালমকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। জাহালমের মুখ থেকেই শুনতে চান আদালত, তিনি (জাহালম) কেমন আছেন? বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ নির্দেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। অন্য পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অমিত দাসগুপ্ত।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, ব্যাংকঋণ ও জাহালমকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ৩৩টি মামলার নথিপত্র হলফনামা আকারে গতকালের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের জন্য দুদকের প্রতি নির্দেশ ছিল। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত মাত্র একটি মামলার নথি দাখিল করা হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মামলার নথিও দাখিল করা হবে।
“৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে” শিরোনামে জাহালমের প্রায় তিন বছর কারাগারে থাকার বিষয়টি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। আদালত কারাগারে থাকা জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দুদক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এই প্রতিবেদন অপূর্ণাঙ্গ হওয়ায় আদালত সব নথিপত্র চান। এ ছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে কারামুক্তি দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :