ডেস্ক রিপোর্ট : বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, চিকিৎসাসেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার সুফল জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে। মানব কণ্ঠ।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ ও জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপক উন্নয়ন ও প্রসার ঘটানোর জন্য পর্যায়ক্রমে আরও আটটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে শুধু সরকার একা নয়, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। তা হলেই আমরা মানুষের ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে পারব।
স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টিসহ রোগ যাতে না হয়, সে জন্য খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরার অভ্যাস পরিবর্তন করে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন গড়ে তোলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার জন্য এবং যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ সুযোগ দিচ্ছি। শিশুদের ইনকিউবেটর মেশিন আনার বিষয়ে ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছর হয়েছে। তবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের আয়ু বেশি দেখতে পাচ্ছি। ছেলেদের আয়ু যাতে বাড়ে সে জন্য নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় জিপ গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আপনার মতামত লিখুন :