ফাতেমা ইসলাম : রানা প্লাজা ধ্বসের ৬ বছর পরও কাজে ফিরতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্থ অর্ধেকের বেশি শ্রমিক, কারণ হিসাবে তারা শারিরীক ও মানসিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন। রানা প্লাজার সাবেক শ্রমিকদের ওপর সম্প্রতি যে জরিপ চালিয়ে আন্তর্জাতিক এনজিও আ্যকশন এইড তাতে এই সকল তথ্য উঠে এসেছে। আজ জরিপটির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার কথা রয়েছে। পাশাপাশি পোশাক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আজ একটি প্রতিবেদন দেয় হবে বলে জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নসুরাত জাবীন বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ভাতার প্রশ্নে একটি সর্বসমামত কাঠামো নির্ধারণে বাধা হিসাবে গার্মেন্টস শ্রমিক, মালিক এছাড়াও অনেক পক্ষ আছে, যে পক্ষগুলো একেবারে চুপ থাকে। বেতনের বিষয়টা আমাদের কোন পারিবারিক সমস্যা না। এখানে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও অনেক লোক থাকে যাদের নিয়ে কোন কথা হয় না। গার্মেন্টসের পুরো ব্যাপারটা ক্ষতিয়ে দেখলে দেখা যাবে মুনাফার বেশির ভাগ অংশ বায়ার, ব্যান্ডরা পাচ্ছেন তাই তাদেরও জবাবদিহিতার ভেতরে আনা উচিত, বেতন কাঠামো নিয়ে যে কথা হয়েছে তার মধ্যে।
রানা প্লাজা ধ্বসে ১১শত শ্রমিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বহু মানুষ তাদের ক্ষতি পূরণ নিয়ে তিনি বলেন, তারা যেটা পেয়েছেন সেটা একধরনের আর্থিক সাহায্য। তারা কিছুটা টাকা পেয়েছেন, কিন্তু ক্ষতিপূরণ পাননি। তবে ক্ষতিপূরণ কোন দয়া বা দান না এটা একটা অধিকার।
শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের যে অধিকার আছে সেটা না দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে মালিক পক্ষ চায় না তারা সংঘবদ্ধ হয়ে দাবি-দাওয়া তুলবে এই জন্য তাদের এই ক্ষমতাটা দেয়নি। এটা ক্ষমতার খেলা কারো ক্ষমতা কেউ কাওকে দেয় না বা দিতে চায় না। কারণ মালিক পক্ষও ভয়ে থাকেন যে তারা ক্ষমতায়িত হয়ে কি না কি চায় আমার কাছে। তবে এই নিয়ম থাকলেও বাস্তবায়িত হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :