হ্যাপি আক্তার : মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা দিন দিন সহিংস হয়ে উঠছে। নিজেদের মধ্যে দ্বদ্বের কারণে সংঘাতের ঘটনা বাড়ছে। তুচ্ছ ঘটনায় হামলা, সংঘর্ষ, খুনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে। তাদের দাবি, প্রত্যাবাসন ও ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতেই এসব অপরাধ ঘটানো হচ্ছে। সচেতন মহল বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। সময় টেলিভিশন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের একটি ব্লকে রোহিঙ্গারা জার্মানির ৩ সাংবাদিকসহ এক স্থানীয়কে মারধর করে। এখন নিয়মিতই এ ধরণের ঘটনা ঘটছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। তুচ্ছ ঘটনায় হামলা, সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, খুন এখন যেন নিত্য ব্যাপার।
পরিসংখ্যান বলছে, গত দেড় বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩২ জন মারা গেছে নানা ঘটনায়। মোট ৩১২টি ঘটনায় আসামি হয়েছেন ৬৫০ জন। স্থানীয়দের দাবি, ক্যাম্পের ভেতরেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্রুপ। ক্যাম্পের বেশিরভাগ ঘটনাই পরিকল্পিত। যার উদ্দেশ্য, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ও ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া বানচাল করা।
স্থানীয়রা বলছেন, রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা হিংস্র হয়ে ওঠে। তাদের এই ব্যাপরোয়া হওয়ার পেছনে দেশি-বিদেশি কিছু এনজিওর হাত রয়েছে। তাদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের জন্ম হচ্ছে তাতে বোঝা যায় আগামী দিনে শুধু মিয়ানমার নয় তারা বাংলাদেশের জন্যও বিপদজনক হয়ে দাঁড়াবে।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী রয়েছে, তাদের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে নতুবা এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, যা আমাদের জন্য ভয়ংকর হবে।
তবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, নানা কারণে রোহিঙ্গারা সহিংস হয়ে উঠছে। তার মধ্যে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন বাজার গড়ে উঠছে। এগুলোর ভাড়া ও চাঁদা নিয়ে তাদের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে অবস্থান করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আর এই দুই উপজেলায় স্থানীয় বাসিন্দা ৫ লাখের মতো। -সম্পাদনা : রাজু আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :