শিরোনাম
◈ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাউন্ড সিস্টেম রয়েছে মসজিদে হারামে ◈ ভারতের সংসদে বাংলাদেশ নিয়ে জয়শঙ্করের বিবৃতি ◈ কুমিল্লায় সৎ মাকে পিটিয়ে হত্যা ◈ আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে দারুণ শুভসূচনা বাংলাদেশের ◈ ওয়ান্ডারার্সকে ৬-০ গোলে হারিয়ে মোহামেডানের প্রিমিয়ার লিগ শুরু ◈ টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড, এক দলের ১১ জনই বোলিং করলেন  ◈ শনিবার দ্বিতীয় টেস্ট, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পনায় সিরিজ জিততে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ◈ ট্রাকের ধাক্কাকে হত্যাচেষ্টা বলার কারণ জানালেন সারজিস ◈ আদালত চত্বরে আইনজীবী সাইফুল হত্যা: পুলিশের উদ্ধার করা ভিডিওতে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে ◈ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মহিলা আওয়ামী লীগের ৫ নেত্রী গ্রেফতার

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ০২:২৯ রাত
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ০২:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোগীকে নিজের সেরাটা দিন, বাকিটা আল্লাহই আপনাকে দেবেন, বললেন ভুটানি প্রধানমন্ত্রী

ফাহিম বিজয় : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে গিয়ে নিজের সহপাঠী, ছাত্র ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি, যার অধিকাংশই ছিলো বাংলায়। শুরুতেই তিনি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রস্তুতিতে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। বিবিসি বাংলা

শিক্ষকরা কাল যা পড়াবেন তা আমি আগের রাতেই একবার দেখে নিতাম। পরদিন ক্লাসে গেলে স্যার ডেমো দেবেন। এবং এর পরেই বন্ধুদের নিয়ে আলোচনা করতাম। ফলে বিষয়টি দু'তিনবার পড়া হয়ে যেতো। দেবতূল্য ডাক্তার নিয়ে কেন এত ক্ষোভ?

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক এই শিক্ষার্থী বলেন, এ থেকে শিক্ষাটা হলো: আমরা যদি শিখতে চাই সেটা পড়ে নয়, আলোচনা করতে হবে। শেখার সেরা উপায় হলো আলোচনা। নিজের অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, চতুর্থ বর্ষে থাকার সময় তাঁর পেটে ব্যথা ও অনেক বমি হচ্ছিলো। পরে হাসপাতালের আউটডোরে গিয়েও কাজ হয়নি এবং এক পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিলো। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছিলো না।দিনে দিনে অবস্থা খারাপ হচ্ছিলো। একদিন বিকেলে একজন এলেন। আমাকে দেখে বললেন, আরে এ ছেলেটাকে এভাবে রাখার কোন মানে হয়! এটাতো অ্যাপেন্ডিসাইটিস। আমাদের বললেই হতো। এরপর আমাকে তিনি বললেন 'প্লিজ ডোন্ট অরি। আমি অপারেশন করবো। কোনো সমস্যা হবেনা। তোমার বাবা-মা দূরে। রাতে অপারেশন হলো এবং দু'সপ্তাহ পর সব ঠিক হলো।

তিনি আরো বলেন, নিজের এ অভিজ্ঞতা থেকে আমার মাথায় যা এলো, তা হলো রোগী দেখতে হলে ভালো করেই দেখতে হবে। হুট করে প্রেসক্রিপশন দিলে ডায়াগনোসিস মিস হতে পারে এবং আমরা আমাদের কাজ হালকা ভাবে নিলে আরেকজনের জীবনের ক্ষতি হতে পারে। রোগীর সাথে সকাল-সন্ধ্যা, রাত-দিন ডিল করি। আমরা মানিয়ে নিই, কারণ এটা আমাদের কাজ।

পুরো বক্তৃতায় নানা উদাহরণ তুলে ধরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী চিকিৎকদের উদ্দেশ্যে আরও যেসব পরামর্শ দেন তাহলো:
১. সার্জন হওয়া বা না হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভালো সার্জন হওয়া। ২. আর ভালো সার্জন হতে হলে প্রথমে ভালো মানুষ হতে হবে। ৩. আমাদের সবার মতামত দেয়ার অধিকার আছে। কোন বক্তব্য ভুল বা সঠিক বলে চূড়ান্ত রায় দেয়ার কিছু নেই। যেকোন বিষয়ে ভিন্নমত থাকতেই পারে। ৪. আমরা রোগীর সাথে সব সময় থাকি, কিন্তু রোগীরা সব সময় আমাদের সাথে থাকে না। হয়তো একজন রোগী একবারই আসেন। সেজন্য প্রত্যেক রোগীর প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে।

৫. আমরা শুধু মানুষের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে কাজ করি। এটা মনে রাখতে পারলে তা হবে সেরা অর্জন। ৬. শিক্ষকেরা সবসময়ই শিক্ষার্থীদের জন্য আছেন। শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষকদের জানতে ও বুঝতে হবে। ৭. উচ্চাভিলাষী হওয়ার দরকার নেই। ৮. নিজের সেরাটা দিন, বাকীটা আল্লাহই আপনাকে দেবেন।

লোটে শেরিং বলেন, ভুটানের চারটি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলো যারা 'মোটামুটি সমমানের ভালো অথবা খারাপ। কিন্তু আমরা (নির্বাচনে) জিতেছি শুধুমাত্র আমাদের হেলথ ম্যানিফেস্টোর জন্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়