নাঈম কামাল : জেলার নবীনগর পৌর এলাকার শহীদ মিয়ার ঠোঙ্গা তৈরির দোকানে শনিবার দুপুরে একাধিক ভ্যান গাড়ি থেকে অসংখ্য বই নামাতে দেখেন স্থানীয়রা। জাগরণ
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ইতি বেগম। এ সময় দেখা যায়, দোকানের ভেতরে স্তুপিকৃত আকারে রাখা শত শত বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার মলাটগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের এসব বইয়ের মধ্যে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের শিক্ষাবর্ষের অনেক বই রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুমের নির্দেশে চার সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। মঙ্গলবার তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দোকানি শহীদ মিয়া জানান, ১২ টাকা কেজি দরে প্রায় ১৮ হাজার টাকায় ৩৮ মণ ওজনের এসব বইখাতা নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কিনে এনেছেন। বইয়ের মলাটগুলো আগে থেকেই ছেঁড়া ছিলো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন জানান, সরকারি যে কোনো জিনিস নিলাম ছাড়া বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।
প্রধান শিক্ষক কাউছার বেগম জানান, স্টোররুম থেকে পুরানো বই খাতা সরানোর দায়িত্ব ছিলো নীহার রঞ্জন চক্রবর্তীর। বই বিক্রির বিষয়টি আমি জানি না।
নীহার রঞ্জন চক্রবর্তী জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ ছাড়া বই বিক্রির কথা কি কেউ বিশ্বাস করবে?
আপনার মতামত লিখুন :