নিউজ ডেস্ক: নববর্ষের আগে সরকারের দেয়া বৈশাখী ভাতা হাতে পাননি বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের জন্য এ বছরই প্রথম বৈশাখী ভাতা ছাড় করেছে সরকার। এ জন্য মাউশির এক কর্মকর্তার দায়িত্বে গাফলতিকে দায়ী করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ জার্নাল
জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনেকই আগেই এ খাতে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, টাকা ব্যয়ের অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। তবুও সময়মতো বিল প্রস্তুত করে শিক্ষামন্ত্রী ও সচিবদের কাছ থেকে অনুমোদন এবং ব্যাংকে চেক না পাঠানোয় তারা পহেলা বৈশাখের আগে টাকা তুলতে পারেননি।
শিক্ষক নেতাদের অভিযোগ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরেরর (মাউশি) মহাপরিচালক বিদেশ সফরে রয়েছেন। এ সময়ে মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল খবীর চৌধুরী। তিনি যথাসময়ে বৈশাখী ভাতার বিল প্রস্তুত ও চেক ব্যাংকে পাঠানোর উদ্যোগ নেননি।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কাওছার আলী সেখ জানান, গত ৯ এপ্রিল মাউশি থেকে এ অর্থ ছাড় করা হয়। মাত্র তিন দিন সময় দিয়ে ১১ এপ্রিলের মধ্যে তা তুলতে নির্দেশ দেওয়া হয় সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারীদের। অথচ এ তিন দিনের মধ্যে টাকাই পৌঁছায়নি বহু জেলায় শিক্ষকদের হিসাব নম্বরে। ফলে বৈশাখের আগে এ ভাতার অর্থ তুলতেই পারেননি তারা।
তিনি বলেন, সারাদেশের ২৮ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ৫ লাখ। তাদের ৯৫ ভাগই প্রথমবারের মতো দেওয়া এই ভাতার অর্থ তুলতে পারেননি।
আপনার মতামত লিখুন :