সুমন পাইক : ছায়ানটের সভাপতি সানজিদা খাতুন অন্যায়-অত্যাচারের নীরব দর্শক না হয়ে প্রতিবাদের আহবান জানালেন। সেই সাথে আক্ষেপ করে বললেন, কিছু মানুষ কি পাষণ্ড হয়ে উঠেছে? নববর্ষ যদি ভ্রাতৃত্ববোধ, মানবতাবোধের উন্মেষ না ঘটাতে পারে, তবে নতুন দিন কী বার্তা নিয়ে আসে? তবে সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে মাথা তুলে দাঁড়াবে বাঙালিরা। রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বললেন, বৎসরকাল পেরিয়ে আমরা আবার নতুন দিনের মুখোমুখি। কেমন সময় পেরিয়ে এলাম? চোখ মেললে কিংবা কান পাতলে নিত্যই শিশু-নারী, বল ভরসাহীন মানুষ তথা সমগ্র মানবতার ওপরে নির্মম আচরণের খবর পাই। নিয়ত মার খাচ্ছে সমাজের ধারণা। কোথায় যাচ্ছি আমরা? নিষ্কলুষ শিশু সন্তান অত্যাচারের শিকার হয় কী করে? সমাজ কি পিতামাতা, ভাইবোন, সন্তানসন্ততির গৃহ আর প্রতিবেশী নিয়ে গঠিত শান্তির নিবাস নয়? কিছু স্বার্থান্বেষী অমানুষদের আত্মসুখ সন্ধানের ফলে কচিকাঁচা থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী ও সমাজের কোনো মানুষ নির্যাতনের হাত থেকে পরিত্রাণ পায় না ।
তিনি সবাইকে আহ্বান করে বলেন, আমাদের অন্তরের ইচ্ছা জাগুক, ‘ওরা অপরাধ করে’ কেবল এই কথা না বলে, প্রত্যেকে নিজেকে বিশুদ্ধ করবার চেষ্টা করি। আর আমরা যেন নীতিবিহীন অন্যায়- অত্যাচারের নীরব দর্শকমাত্র হয়ে না থাকি। প্রতিবাদে, প্রতিকার সন্ধানে হতে পারি অবিচল। নববর্ষ এমন বার্তাই সঞ্চার করুণ অন্তরে।”