মঈন মোশাররফ : মোটরসাইকেলে চালক ব্যতিত অন্য কোন আরোহী বহন করা যাবে না। তবে স্বামী-স্ত্রী চলাচল করতে পারবেন। একযোগে বা দলগতভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি বা যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার কর্মী এবং আইন সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পারিচালক নূর খান রোববার ডয়চে ভেলেকে বলেন, সিলেট মহানগর পুলিশ যে নির্দেশনা দিয়েছে তাতে উগ্রবাদ উৎসাহিত হবে। এই নির্দেশনার কারনে এক ধরনের আশংকা তৈরি হবে, যা উগ্রবাদের জন্য সহায়ক। স্বামী-স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নববর্ষে একই মোটর বাইকে আরোহী হতে পারবেনা- এটা রাষ্ট্রীয় আইনবিরোধী । অনেক সময় পুলিশ সাধারণ জনগণের অনিয়মরোধে কিছু নির্দেশনা দিয়ে থাকে । কিন্তু এই নির্দেশনাকে সেভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই । এটি নাগরিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যায় ।
তিনি আরো বলেন, পহেলা বৈশাখসহ বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম ও আরো কিছু সংগঠন শুধু এবার নয়, দীর্ঘদিন ধরেই বিষোদগার করে আসছে। আর দেখে শুনে মনে হয়, তারা সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে। তাদের আসলে এখন থামানোর সময় এসেছে। তাদের এই বিষোদগার চলতে দিলে দেশের সমূহ ক্ষতির আশংকা আছে।
আপনার মতামত লিখুন :