রুহুল আমিন : দেশে বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা হলো ৫৯টি। এর মধ্যে অনেক ব্যাংক খেলাপি ঋণ ও মূলধন সংকটে পড়েছে। অনেক রাজনৈতিক বা ক্ষমতাধর ব্যাক্তিরা ব্যাংক হতে লোন নিয়ে নির্ধারিত সময়ে টাকা দিচ্ছেন না। আবার কিছু ব্যাক্তি নকল কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংক হতে লোন নেয়। যার কারণে এ লোন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আর পায় না। ফলে কিছু ব্যাংক ভবিষ্যতে চলবে কিনা এমন ঝুঁকির মধ্যে আছে। একাত্তর টিভি।
এর প্রভাব গ্রাহক ও বিনিয়োককারীর উপর পড়বে না তা নয়। ঝুঁকিতে ফেলেছে দেশের আর্থিক খাতকে। পরিচালনা কার্যক্রমে ব্যর্থ ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাংকগুলোর সাথে একিভূত করার ইচ্ছা সরকারের।
জাতিসংঘ বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো আর্থিক খাতে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এমনকি ব্যাংকগুলো এ অবস্থায় খেলাপি ঋণে জর্জরিত রয়েছে। সংস্থাটি এ দেশের নানা খাতের জরুরি সংস্কার আনার ব্যাপারে সরকারকে বার্তা দিয়েছে। দ্রুত নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকার চায় না কোনো ব্যাংক বন্ধ হোক। সব ব্যাংক যাতে খুব সুন্দর ভাবে চলতে পারে সেজন্য সরকারের পক্ষ হতে সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেসব ব্যাংক আর্থিক সংকটে জর্জরিত ও ভবিষ্যতে চলতে পারবে না। তাদের তালিকা সরকারের পক্ষ হতে করা হচ্ছে। এগুলোকে একিভূত করে সচল ব্যাংকগুলোর সাথে সমন্বয় করা হবে। ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা আছে সরকারের। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোর অডিট করার বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। ভবিষ্যতে কোনো ব্যাংককে অনুমোদন দেয়ার ব্যাপারে জন্য সরকারের পক্ষ হতে বিশেষ নজর রাখা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :