আরএইচ রফিক : দূর্বার আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহনের আহবান জানিয়ে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘গণতন্ত্র , স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক কারাগারে বন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারেই তিলে তিলে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি তার মুক্তির জন্য আর ঘরে বসে থাকলে চলবেনা এমন আহবান জানিয়ে বলেন ,সময় এসে গেছে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তুলেই তাকে কারাগার থেকে বের করে আনতে হবে। আর বিএনপির রাজধানী ও দুর্গ বগুড়া থেকেই এই আন্দোলনের সুচনা হবে ইনশাল্লাহ । তিনি এসময় সুদানের উদাহরণ উল্লেখ করে বলেন, সুদানের জনগন প্রমান করে দিয়েছে জনগনের প্রতিবাদের কাছে স্বৈরশাসক ও তাদের সামরিক জানতারা কত অসহায় ।’
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু শনিবার দুপুরে বগুড়া জেলা বিএনপি আয়োজিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃ শর্ত কারামুক্তি ও ফরমায়েশী সাজা বাতিলের দাবিতে আয়োজিত এক গণ অনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির ব্ক্তব্য দিতে গিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন ।
৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা পরীমল সিং এর সঞ্চালনায় এবং বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, সিনিয়র নেতা ও সাবেক এমপি এ্যাড: হাফিজুর রহমান, এ্যাড: মাহবুবুর রহমান, ফযলুল বারী তালুকদার বেলাল, মহিলাদলের সভাপতি লাভলী রহমান, জেলা যুবদল সভাপতি সিপার আল বখতিয়ার, জেলা স্বেচ্ছা সেবকদলের সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান হিমু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেণা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আহসানুল তৈয়ব জাকির, পেশাজীবী নেতা ডা: মামুনুর রশীদ মিঠু, এ্যাড: আব্দুল বাছেদ, এ্যাড: সাইফুল নন্দীগ্রাম বিএনপি সভাপতি আহসান বিপ্লব প্রমুখ ।
গণঅনশনে প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে রুহুল কুদ্দুস দুলু আরও বলেন, গত ১২ বছরে বগুড়ায় কি উন্নয়ন হয়েছে ? তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি বগুড়ায় ব্যাপক উন্নয়ণের উদাহরন টেনে বলেন, বিএনপি গ্যাসের সংযোগ দিয়েছে । যার সুফল এখন সবাই ভোগ করছে। আবার সুযোগ পেলে বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন করবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এই সরকার ভোট কারচুপির সরকার। গত প্রহসনের নির্বাচনে জাতি গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা হারিয়েছে। তীব্র গণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এখন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, ফিরিয়ে আনতে হবে গণতন্ত্র হারানো বাক স্বাধীনতা।’
সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলা এই গণঅনশন কর্মসূচিতে দলের সিনিয়র নেতাদের প্রায় সবাই উপস্থিত হলেও কর্মিদের উপস্থিতির হার ছিল দৃষ্টিকটুভাবে কম বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আপনার মতামত লিখুন :