সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র অষ্টমী স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শুরু হয়ে শনিবার সকাল ৯টা ২১ মিনিট পর্যন্ত স্নান উৎসবের উত্তম সময় নির্ধারণ করা থাকলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসায় এ উৎসব চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার পুণ্যার্থীরা অষ্টমী স্নানে অংশ নেয়। রমনা ইউনিয়নের রমনা ঘাট ও ঘাটের উত্তর থেকে শুরু করে রাজারভিটা পুটিমারী পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকাব জুড়ে এ পূণ্য স্নানে কয়েক লাখ পুণ্যার্থী অংশ নেয়। অষ্টমী স্নানকে ঘিরে ব্রহ্মপুত্রের বালু চরে বসেছে মেলা। মেলায় বাশের তৈরী খেলনা, মাটির তৈরি হারি পাতিল-বিভিন্ন দেব দেবীর প্রতিকৃতি, পুতুলসহ নানা উপকরন নিয়ে বসেছে দোকানীরা। এছাড়া দোকানীরা এখানে বাহারী নামের খাবার দোকনও খুলে বসেছে।
বাংলাদেশ পুজা উৎযাপন পরিষদ চিলমারী উপজেলা সভাপতি ডাঃ সলিল কুমার বর্মন জানান, চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে কুড়িগ্রাম জেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষের সমাগম ঘটে সেজন্য তাদের যাতায়ত ও স্নান পর্বসহ সকল কাজে সহায়তার জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে যাতে পুণ্যার্থীরা নির্বিঘ্নে স্নান সম্পন্ন করতে পারেন। তিনি জানান এ বারও কয়েক লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে তাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে ভাল ও সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। মেলা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা রক্ষায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকূপ স্থাপন ও নারী পুণ্যার্থীদের পোশাক পাল্টানোর সুবিধার্থে সরকারি, বেসরকারি ও এনজিওদের সহায়তায় দুই শতাধিক তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।
প্রতি বছর নির্দিষ্ট দিনে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে হিন্দুধর্মের মানুষেরা পাপ মোচনের আশায় চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এ স্নান উৎসব পালন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :